Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kim

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে ধারণা করা হচ্ছিলো, হার্ট অপারেশনের পর কিম জং উনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে জাপানের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কিম জং উন এখন অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। আর হংকংয়ের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ‘এইচকেএসটিভি হংকং’ এর দাবি, কিম মারা গেছেন। এদিকে নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলছে, কিমের মৃত্যুর বিষয়টি গুজব। তবে এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

chardike-ad

গত ১১ এপ্রিল সর্বশেষ জনসম্মুখে এসেছেন কিম জং উন। ওই দিন তার উপস্থিতির ভিডিও সরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। এদিকে গত সোমবার গুজব ছড়িয়ে পড়ে- হার্টের জটিল অপারেশনের পর কিম জং উনের অবস্থা গুরুতর। আর সেই দাবি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সংবাদপত্র ডেইলি এনকে। সিএনএন এর এক প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়, কিম গুরুতর অসুস্থ। তবে বিষয়টি গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

জাপানি সংবাদমাধ্যম সুখান গেন্দাই কিমের হার্ট অপারেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলছে, অস্ত্রোপচারের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা কিম জং উনকে অজ্ঞান করেননি। আর অপারেশনের সময় তিনি প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েন। সে কারণে অপারেশন বিলম্বিত হওয়ার এক পর্যায়ে অচেতন অবস্থায় চলে যান কিম।

এইচকেএসটিভি হংকং স্যাটেলাইট টেলিভিশনের একজন উপপরিচালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে তার এক কোটি ৫০ লাখ অনুসারীকে জানিয়েছেন ‘নিরেট উৎস’ থেকে তিনি কিমের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে কোন ধরনের অসুস্থতায় কিমের মৃত্যু হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করেননি। টেলিভিশন চ্যানেলটির ওই উপপরিচালক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন ভাতিজি।

এদিকে গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিল চীন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ উইকের সাংবাদিকের কাছে পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কিম জং উনের রোগাক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের কাছে কোনো সঠিক তথ্য নেই।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিমের প্রকৃতবস্থা কী, তা নিশ্চিত নয়।