Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kimবেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন অসুস্থ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করছে। তবে কিম জং কোথায় আছেন, কেমন আছেন তা নিয়ে বুধবার কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির গণমাধ্যম।

বরং দেখা যাচ্ছে, কিম জং-উনের অর্জন নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম। এতে কিমের পুরনো ও তারিখবিহীন উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন গণমাধ্যমের খবর নিয়ে সন্দেহ পোষণের কথা বলছেন মার্কিন গোয়েন্দা কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের কর্মকর্তারা।

chardike-ad

এদিকে কিম জং-উনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি কেবল তার সুস্বাস্থ্য কামনা করতে পারি। ‘ভালো সম্পর্কের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি। কিন্তু এর বাইরে কিছু বলতে চাননি ট্রাম্প।

এর আগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এর পর নিজ বাড়িতেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এরপর নাকি ট্রাম্প কিমের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। সে বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, খবরে যা বলা হয়েছে– তা যদি সত্যি হয়, তবে এটি খুবই গুরুতর অবস্থা।

এদিকে কিমের অস্ত্রোপচারের ঘটনা সত্যি হলে, ডেইলি এনকে ওয়েবসাইটের দাবি অনুসারে এবং তার দাদা ও দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিত থাকার একটি ব্যাখ্যাও সামনে চলে আসবে। গত ১২ এপ্রিল দেশটির পূর্ব উপকূলীয় হায়াংসান কাউন্টিতে একটি হাসপাতালে কিমের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সিউলভিত্তিক ডেইলি এনকে নামের যে ওয়েবসাইট এমন খবর দিয়েছে, সেটি উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগীরা চালাচ্ছে।

খবরে বলা হয়, বর্তমানে মাউন্ট কুমগ্যাং রিসোর্টের একটি বাড়িতে ৩৬ বছর বয়সী এ রাষ্ট্রপ্রধান চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিবেদনে অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই।

আন্তঃসীমান্ত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ বিষয়ে সরাসরি অবগত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনও বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। অস্ত্রোপচারের পর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কিম জং-উন। কিন্তু সিএনএনের প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার খবরাখবর রাখা দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ১১ এপ্রিল ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর হাসপাতালে ভর্তি হন কিম। এর পর গত সপ্তাহের পিয়ংইয়ংয়ের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময়ও তাকে দেখা যায়নি। এমনকি কিম ইল-সুংয়ের আড়ম্বরহীন জন্মবার্ষিকী উদযাপনেও তাকে দেখা যায়নি কিমকে।