গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দেশটির ধারে কাছে নেই কোনো দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২৮ হাজার মানুষ। অপরদিকে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪২ হাজার ৫১৪ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭২ হজার ৩৮৯ জন। তবে ১৩ হাজার ৯৫১ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং তুরস্ক। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ইউরোপ-আমেরিকায় ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি করেছে। শক্তিধর দেশগুলোও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার অধিকাংশই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে, যা প্রশাসনের অনুমান থেকে অনেক কম। সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখন ৫০-এর দিকে যাচ্ছি-আমি শুনছি, অথবা ৬০ হাজার মানুষ মারা যাবে। তিনি বলেন, আগে যে ধারণা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষ মারা যাবে এটা সেই সংখ্যা থেকে অনেক কম।’