একদিনে লকডাউন ভাঙার জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে, অন্যদিকে হু হু করে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে হতে এরই মধ্যে ৪০ হাজার পার হয়ে গেল। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে ৪০ হাজার ২২৭জন।
পৃথিবীর সবচেয় ক্ষমতাশালী দেশটিই এখন অতিক্ষুদ্র করোনাভাইরাসের কাঝে পর্যদুস্ত। ইউরোপের দেশ ইতালি-স্পেনকে বহু আগেই ছাড়িয়ে গেছে তারা। এখন তো এককভাবেই তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। প্রতিদিনই কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এখও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা পার হযে গেছে সাড়ে ৭ লাখ (৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪৭জন)।
যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে নিয়মিতই দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ দিনের অর্ধেক পর্যন্ত ১২০০ প্লাস মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। দিন শেষে সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকা হচ্ছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এই রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ২১৫ জন। ইতালি-স্পেনের চেয়েও বেশি আক্রান্ত এই এক নিউইয়র্ক। এককভাবে এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২৯৮ জনের। আজও এখানে মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের।
নিউইয়র্কের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নিউ জার্সিতে। মোট ৮৫ হাজার ৩০১ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু করেছে ৪ হাজার ২০২ জন ব্যক্তি। ম্যাসাচুসেটসে আক্রান্ত ৩৬ হাজার ৩৭২ জন। মৃত্যু ঘটেছে ১৫৬০ জনের।
পেনসিলভানিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২৩৭ জনের। মিশিগানে আক্রান্ত ৩১ হাজার ৪২৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ২ হাজার ৩৯১জন।
যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতেই পৌছেছে করোনা। প্রতিটিতেই রয়েছেন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঘটনা। তবে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৯ হাজার ৯২৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৬৬০ জন ব্যক্তি। স্পেনে মৃত্যুবরণ করেছে ২০ হাজার ৪৫৩ জন মানুষ। ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭১৮জন মানুষের। যুক্তরাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৬০ জনের।