Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
kim
ফাইল ছবি

জনগণের উদ্দেশে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভাষণে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো গত মার্চের শেষের দিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি কর্মকর্তারা দেশে কোনো করোনা রোগী নেই বলে যে দাবি করেছিলেন তার সঙ্গে এই ভাষণ সাংঘর্ষিক।

বিভিন্ন সংস্থা এবং পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপগুলোর এক অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তারা ভাষণ দিয়েছেন। এতে তারা বলেন, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশটিতে কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; সেব্যাপারে কিছুই বলেননি এই কর্মকর্তারা।

chardike-ad

উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এবং রায়াংগ্যাং প্রদেশের পৃথক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। তবে বক্তারা বলেছেন, পিইয়ংইয়ং এবং নর্থ হ্যামজিওং প্রদেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রতিবেশি এই দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ব্যাপক বিধি-নিষেধ আরোপের পাশাপাশি করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর থেকে আসা বিদেশিদের জন্য ৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করে উত্তর কোরিয়া। এমনকি মার্চের শুরুর দিকে কয়েক ডজন কূটনীতিককে উত্তর কোরিয়া থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

শনিবার দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলছে, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। এছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাস ঢুকে পড়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা সেবিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে।

সূত্র: রয়টার্স।