Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

taka-poisaবিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে গোটা বিশ্ব দিশেহারা। চীন উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ইতোমধ্যে ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ১৪ লাখের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৮৮ হাজার।

প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ। চেষ্টার কোনও ত্রুটি কেউ রাখছে না। তবে যে কাগজের নোট নিত্যদিনের সঙ্গী সেই নোট নিয়েই বিপাকে পড়েছে মানুষ। এবার কাগজের নোটের কোনও প্রকার ক্ষতি না করে তা পরিষ্কারের পদ্ধতি নিয়ে এসেছে থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংক।

chardike-ad

প্রথমে সাবান বা ডিশ ওয়াশিং লিকুইডের মধ্যে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতেই জীবাণু মুক্ত হবে কাগজের নোট। তবে ব্লিচিং পাউডার, বেকিং সোডার ব্যবহার বা সিদ্ধ করা যাবে না কোনওভাবেই।

বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার জীবাণু কাগজের নোট এবং পয়সার উপরে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদগণ বলছেন, তারা প্রতিদিনই সাবান পানি দিয়ে তাদের কাগজের নোট পরিষ্কার করেন। দেশটির অনেক রেঁস্তোরায় ব্যাংক নোট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে এখনও কোনও সতর্কতা জারি করেনি তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগে থেকেই সচেতন থাকা উচিত।

এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দোকানদার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাগজের নোট পরিষ্কার করার উপদেশ দিয়েছেন। কিভাবে পুরোপুরি জীবাণু মুক্ত করা যায় সে বুদ্ধি দিয়েছেন তারা। সাবান পানি বা হ্যান্ডওয়াশের সাহায্যে কাগজের নোট পরিষ্কারের কথা বলছে তারা। তবে বেকিং করা, ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা বা সিদ্ধ করার ব্যপারে বারবার নিষেধ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ মানুষ এরই মধ্যে কাগজের নোটের ব্যবহার কমিয়েছে। যতটা সম্ভব এই নোটের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে ব্যাংক।

মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগের চিকিৎসক অ্যান্ড্রিউ স্টুয়ার্ডসন বলছেন কাগজের নোটের মাধ্যমে খুব সহজে করোনার জীবাণু ছড়াতে পারে। এজন্য যতটা সম্ভব নোটের ব্যবহার কমানো উচিত বা পরিষ্কার করে ব্যবহার করা উচিত।