Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

londonবাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর এলাকায় বয়স্কদের একটি কেয়ার হোমে বাংলাদেশিসহ ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সঙ্গে ওই কেয়ার হোমের ৪৮ জন মানুষের মধ্যে আরও ২১জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (৮ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

মৃত ৭ জনের মধ্যে একজনের ছবি ও নাম প্রকাশ করেছে বিবিসি। তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জমশেদ আলী (৮৭)। তিনি ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেন পাড়ি জমান। তিনি লন্ডনে দীর্ঘদিন দর্জি হিসেবে কাজ করেছেন। গত ২৪ মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তিনি। রয়েল লন্ডন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

chardike-ad

তার মেয়ে লুতফা হুড বলেন, ‘যদি আমরা জানতাম কেয়ার হোমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তাহলে আমরা তাকে হাসপাতাল থেকে সেখানে পাঠাতাম না।’

এছাড়া স্টেপনিগ্রিনের হার্থনগ্রিনের কেয়ার হোমের অধিকাংশ কর্মীদের সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ সব কেয়ার হোমে থাকা মানুষের সেবায় দেশটির সরকার সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামাজিক সেবা খাতে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছেন তারা। এই বিভাগের এক কর্মকর্তার মৃত্যুতে দুঃখও প্রকাশ করেছেন তারা।

এদিকে, ব্রিটেনে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে মৃতের রেকর্ড হচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দেশটিতে ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়। আর ২৪ ঘণ্টায় ছাড়িয়ে গেছে এ সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ইংল্যান্ডে ৮২৮, স্কটল্যান্ড ৭০, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৫ এবং ওয়েলসে গত ৩৩ জন।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে সবচেয়ে তরুণ বয়সের মৃত্যুবরণকারীর বয়স ২২ এবং প্রবীণের বয়স ১০৩ বছর। মৃত ৪৬ জনের পূর্বে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল না।

সবমিলিয়ে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার ২৪২ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৯৫ জনের।