Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

corona-deathমাত্র ৯ থেকে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপি মৃতের সংখ্যা বাড়লো ৫ হাজারের বেশি। গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে ৪টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা পার হয়েছিল ৭৫ হাজার। রাত ১২টা (বাংলাদেশ সময়) বাজার আগেই সংখ্যাটা পার হয়ে গেলো ৮১ হাজার।

বিশ্বব্যাপি করোনায় মৃতের সংখ্যা (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) প্রায় ৮১ হাজার (৮১ হাজার ৪৪জন)। প্রতি মিনিটেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপি আক্রান্ত হয়েছে ১৪ লাখ ১১ হাজার ৯৯ জন মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫৯জন মানুষ।

chardike-ad

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বিশ্বের ২০৯টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৪ জন। নতুন আক্রান্ত ১৯১৯০ জন। মৃতের সংখ্যাও পার হয়ে গেছে ১২ হাজার। মোট মৃত ১২ হাজার ২৪৬ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৩৭৫ জন।

তবে মৃতের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইতালি। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬জন। নতুন আক্রান্ত কিছুটা কমেছে। ৩ হাজার ৩৯ জন। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ১২৭ জন।

singapore-coronaমৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। মোট ১৩ হাজার ৮৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে। দেশটিতে আক্রান্ত এক লাখ ৪০ হাজার ৫১১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তারা ছাড়িয়ে গেছে ইতালিকেও।

ফ্রান্সে মৃত্যুবরণ করেছে ১০ হাজার ৩২৮জন। আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯জন। এছাড়া ব্রিটেনে মৃত্যুবরণ করেছে ৬ হাজার ১৫৯ জন। ইরানে ৩ হাজার ৮৭২ এবং চীনে মৃত্যুবরণ করেছে ৩ হাজার ৩৩১ জন। ইউরোপের অন্য দুটি উন্নত দেশ বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশ দুটিতেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২ হাজার। নেদারল্যান্ডসে ২ হাজার ১০১ জন। বেলজিয়ামে ২ হাজার ৩৫ জন। জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪১ জন। দেশটিতে আক্রান্ত এক লাখ ৬ হাজার ৫০৪ জন।

বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়েছে ৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।

আক্রান্ত ১৪ লাখ ১১ হাজার ৯৯ জনের মধ্যে সুস্থতা এবং মৃত্যুবরণসহ করোনা কেস ক্লোজ হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮০৩টি। বাকি রয়েছেন এখনও ১০ লাখ ২৯ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছেন ৫ ভাগ, তথা ৪৭ হাজার ৮৩৬জন। আর আক্রান্ত তবে খুব বেশি জটিল অবস্থায় নেই, এমন রয়েছেন ৯ লাখ ৮১ হাজার ৪৬০ জন মানুষ।