Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

tablig-jamatমানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে তাবলিগ জামাতে গিয়ে এক মুসল্লি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর সংগঠনটি বাংলাদেশে তাদের দাওয়াতের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতেই তাবলিগ জামাতের আলমী শুরার সর্বসম্মত এই নির্দেশনা দেশের সব মার্কাজকে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মেখল মাদরাসার শিক্ষক ও তাবলিগের চারিয়া মার্কাজের দায়ী মাওলানা জাকারিয়া নোমান। তাবলিগ জামাতের আলমী শুরার সদস্য মাওলানা রকিবুল ইসলামের বরাতে তিনি এ তথ্য জানান।

chardike-ad

মাওলানা জাকারিয়া নোমান বলেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে তাবলিগ জামাতের সব কাজ স্থগিত করা হয়েছে, বিশেষ করে মসজিদভিত্তিক দাওয়াতি কাজ। বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আলমী শুরার বড়দের থেকে আমাদের কাছে এ হিদায়েত (নির্দেশনা) পৌঁছানো হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেদের জজবাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের বিজ্ঞ ফুকাহায়ে কেরাম যা বলেন, সেগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে।’

তিনি বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, মসজিদে ফরজ নামাজ পড়ে সুন্নত বাসায় গিয়ে পড়তে। সে হিসেবে আমরা আমাদের দেশে সব রকম মসজিদওয়ার আমল বন্ধ রাখব এবং চলতি জামাতগুলোকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যারা সময় লাগাতে চান তারা সময় লাগাবেন। কারও বিপরীত কোনো কিছুর চিন্তার করার আমাদের কোনো অবকাশ নেই।’

প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের একটি সমাবেশে যোগ দেওয়া অন্তত ৩০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়ার পর ওই ঘটনাটিকে ঘিরে সেদেশে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে যতো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশই সেখানকার তাবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশেও তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা বাড়ছিল।

ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে তাবলিগ জামাতে গিয়ে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে রাত ১২টায়ই পৌর এলাকা লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর তাবলিগ জামাতের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পরিষদ তাদের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্তটি নিলো।