Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

korea-coronaআজকে কোরিয়ার এক লোকাল বাজারে গিয়েছিলাম কিছু ফ্রুটস কিনতে (সিউলের ছংনিয়াংনি বাজার), গত কয়েকদিন যাবদ রাস্তায় মানুষজন বের হওয়া কিছুটা শুরু হয়েছে।  কয়েকটি কারণে কোরিয়াতে মানুষজন নিশ্চিন্তে বের হতে পারে। কি সেই কারণ? নিচে কয়েকটি পয়েন্ট আকারে দিলাম

# কোরিয়ার করোনাভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছে।  সেটা মোটামুটি সবাই জানেন

chardike-ad

# কোরিয়াতে করোনাভাইরাস কোন কোন এলাকায় হয়েছে, কার হয়েছে, কোন হসপিটালে ভর্তি হয়েছে, কতজন হয়েছে।করোনা রোগী কোন কোন বাসে, রেস্টুরেন্টে বা কোন দোকানে গিয়েছিলো সবকিছু সাধারণ মানুষজনের মোবাইলে এসএমএস, এপসে বা ওয়েবসাইটে ট্র‍্যাকিং করতে পারে।সুতরাং মানুষজন সেই এলাকা এড়িয়ে চলতে পারে।  ডিজিটালের সর্বোচ্চ ব্যাবহার এরা করতেছে।

# ইনচন এয়ারপোর্টে করোনাভাইরাস ফ্রি ঘোষণা।  (মনে হয় প্রথম কোন এয়ারপোর্ট করোনাভাইরাস মুক্ত ঘোষণা)

# এয়ারপোর্টে ইউরোপ থেকে যত পেসেঞ্জারে আসছে সবাইকে গণহারে টেস্ট করেছে এবং যাদের নেগেটিভ আসছে তাদের সবাইকে কোয়ারান্টাইনে রেখেছে।

# রাস্তাঘাট, বাস, ট্রেন বা অন্যান্য সম্ভাব্য গুরত্বপূর্ণ এলাকা স্প্রে করে ভাইরাস মুক্ত করা এখনকার নিয়মিত কাজ।

south-korea* এখানে প্রত্যেকটা বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া আছে।
* প্রত্যেকটা ব্যাক্তি মাস্ক ব্যাবহার করতেছে
* মাস্ক সবাই কিনতে পারে অল্প দামে।
* বাজারে কোন দ্রব্য মূল্যের ঘাটতি নাই

* কোন পণ্যের দাম বাড়েনি
* লক ডাউনও করেনি কোন এলাকা
* কোন কোম্পানি ছুটিও দেইনি কিন্তু কাজের সিস্টেম চ্যাঞ্জ করেছে।যেমন বাসায় বসে কাজ, অনলাইনে মিটিং ইত্যাদি।

কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন “আমাদের যুদ্ধ রোগের বিরুদ্ধে, কোন দেশ বা মানুষের বিরুদ্ধে নয়”

দেশে-বিদেশে সবাই নিজ দায়িত্বে সতর্ক থাকবেন।

আল জাবের ফয়সাল, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
২৪.০৩.২০২০