ওমানে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সময় শেষ। শুধু ওমানেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো দেশে আইনবিরোধী কিছু করলে এর সাজা পেতেই হবে। গতকাল বিমান বাংলাদেশ ওমানের কান্ট্রি ম্যানেজার ইরতেজা কামাল স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওমানের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেন, অনেকেই ওমানে বিভিন্ন অপরাধ করে পালিয়ে দেশে চলে যায়। আবার অনেকের নামে ওমানে মামলা থাকায় দুবাই হয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েক বছর পর পাসপোর্টের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে পুনরায় ওমান প্রবেশের সময় অনেকেই ওমান এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়। সম্প্রতি এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে।
নোটিশে বলা হয়েছে-
১. জিসিসিভুক্ত কোনো দেশে কালো তালিকাভুক্তে থাকা ব্যক্তি ওমানে ঢুকতে পারবে না।
২. যারা ইতোপূর্বে সাধারণ ক্ষমা নিয়ে দেশে গেছে তারাও পুনরায় ওমান ঢুকতে পারবে না।
৩. ওমান পুলিশ স্টেশনে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দেশটিতে ঢুকতে পারবে না।
৪. যদি অবৈধভাবে ওমান থেকে বাহির হয়ে থাকে (অনেকে দুবাই দিয়ে দেশে যায়) তাহলে আর ওমান ঢুকতে পারবে না। কারণ দুবাই এয়ারপোর্ট দিয়ে যাওয়ার রিপোর্ট ওমানের এয়ারপোর্টেও দেখা যাবে।
৫. আরবাব/মালিক যদি কোনো কারণে আপনাকে কালো তালিকায় দেয়, তাহলে আপনি আর ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৬. যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আপনি যদি জিসিসিভুক্ত কোনো দেশের কালো তালিকায় থাকেন, তাহলে আর ওমান ঢুকতে পারবেন না।
এখন থেকে সৌদি, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, দুবাই ও ইরাকসহ এই ৭টি দেশের যে কোনো একটি দেশে যদি কেউ উল্লিখিত একটি অপরাধে জড়িত থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তি আর ওমান প্রবেশ করতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমানের প্রেসিডেন্ট সিরাজুল হক বলেন, কোনো ওমানি স্পন্সর যদি কাউকে বাতিল করে দেশে পাঠিয়ে দেয় তাহলে দুইবছর পর পুনরায় আবার যেতে পারবে যদি তার নামে কোনো মামলা না থাকে। এ ব্যাপারে ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।