করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দিনেদিনে বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬শ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বাংলাদেশসহ ১০৪টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে মোট ৯০ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। ৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। একজনের অবস্থাও উন্নতির দিকে। সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৩৮ জন।
আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুরে গ্রাস অ্যাসেম্বলি অব গড গির্জা থেকে ২৯ জনকে করোনাভাইরাসে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ইয়ং থাই হেং থেকে ৯ জন, গ্রাস হেয়াত সিঙ্গাপুর থেকে ৩ জন, সেলেটার এরোস্পেস হাইট কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে ৫ জন। এই ৫ জনের সবাই বাংলাদেশি। ওয়িজলান টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১৪ জন ও জুরং সাফরা নামের একটি রেস্টুরেন্টে থেকে ২১ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সিঙ্গাপুর সরকার তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা তাদের গৃহীত পদক্ষেপকে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্থানীয় ও অভিবাসী সবার নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিঙ্গাপুরে বর্তমানে যারা আছেন এবং কাজ করছেন তারা প্রত্যেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের সঙ্গে সামিল হয়েছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসীদের করণীয়-
*আমাদের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
*টেবিল, চেয়ার পরিষ্কার, পরিস্কার ও শুকনো রাখতে হবে।
*বারবার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে।
*দৈনিক দুইবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
*হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু নিদিষ্টস্থানে ফেলতে হবে।
*হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকতে হবে।
*ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
*অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হবে।
*কেবল ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো সহজ উপায়েই এই ভাইরাস মেরে ফেলা সম্ভব।
*বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস আক্রান্তের শারীরিক অসুবিধা সামান্য। স্বাভাবিক জ্বর-সর্দির মতো।
*আক্রান্তদের আড়াই শতাংশের কম মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতে পারে-যদি তারা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা বা অন্যান্য বড় রোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকেন।
*সুস্থ-সবল মানুষের আক্রান্ত বা ‘সংকটাপন্ন’ হওয়ার হার একেবারে কম।
*এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত যেমন হচ্ছে, তেমনই সেরেও উঠছে প্রতিদিন।
*মনে রাখা যেতে পারে- এই ভাইরাসের উৎস, প্রকৃতি ও সংক্রমণের ধরন সাতদিনের মাথায় শনাক্ত হয়েছিল। যেখানে এইচআইভি এইডসের ক্ষেত্রে সময় লেগেছিল দুই বছর। প্রতিষেধক টিকা উদ্ভাবনের কাজও অনেকদূর এগিয়েছে।
*ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব।
*কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিলে নতুন এই ভাইরাসের বিস্তার ভৌগোলিকভাবেই ঠেকানো সম্ভব।