ক্রমেই বেড়ে চলে চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও নিহতের সংখ্যা। চীন থেকে ছড়ানো এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৯১৪ জন। আর প্রাণহানি ঘটেছে তিন হাজার ৪৬৬ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬ হাজার ১২৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ৪২ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে ছয় হাজার ৪০১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিশ্বের ৯৪টি অঞ্চল এবং দেশে ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৭৬ জন। যার মধ্যে তিন হাজার ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯২৯ জন। আর বাকি ২৩ হাজার ৬০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন আর বাকি ছয় হাজার ৪১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইরানে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৭৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ১২৪ জনের। তিন হাজার ৭১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ৯১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৬। ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন হাজার ৯১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৫২৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জার্মানিতে এ ভাইরাসে ৬৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর এখনো প্রাণহানি ঘটেনি। ১৭ জন সুস্থ হলেও ৬৫৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফ্রান্সে ৬৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ৬৩২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৪২০ জন। নিহতের সংখ্যা ৬। স্পেনে আক্রান্ত ৪০০, নিহত ৮। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ২৭২, নিহত ১৫। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২১৪, নিহত ১। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১৬৪, নিহত ২। ইরাকে আক্রান্ত ৪৮, নিহত ৪। ভারতে ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি।
এছাড়া, সুইডেন আক্রান্ত ১৩৭; সিঙ্গাপুরে ১৩০; নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ১২৮, নিহত ১; নরওয়েতে ১২৭; বেলজিয়ামে ১০৯; হংকংয়ে ১০৮; মালয়েশিয়ায় ৮৩; অস্ট্রিয়ায় ৬৬; অস্ট্রেলিয়ায় ৬৩, নিহত ২; বাহরাইনে ৬০; কুয়েতে ৫৮; কানাডায় ৫১; থাইল্যান্ডে ৪৮, নিহত ১; তাইওয়ানে ৪৫, নিহত ১; গ্রিসে ৪৫; আমিরাতে ৪৫; আইসল্যান্ডে ৪৩, সান মারিনোতে ২৩, নিহত ১; ডেনমার্কে ২৩; লেবাননে ২২; ইসরাইলে ২১; চেক রিপাবলিকে ১৯; আয়ারল্যান্ডে ১৮; আলজেরিয়াতে ১৭; ভিয়েতনামে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ওমানে ১৬; ফিলিস্তিনে ১৬; মিশরে ১৫; ফিনল্যান্ডে ১৫; ব্রাজিলে ১৩; ইকুয়েডরে ১৩; পর্তুগালে ১৩; রাশিয়াতে ১৩; ক্রোয়েশিয়ায় ১১; কাতারে ১১; ম্যাকাউতে ১০, এস্তোনিয়ায় ১০, জর্জিয়ায় ৯; রোমানিয়ায় ৯; আর্জেন্টিনায় ৮; স্লোভেনিয়ায় ৮; আজারবাইজানে ৬; বেলারুশে ৬; মেক্সিকোতে ৬; পাকিস্তানে ৬; ফিলিপাইনে ৫, নিহত ১; সৌদি আরবে ৫; চিলিতে ৫; পোল্যান্ডে ৫; ইন্দোনেশিয়ায় ৪; নিউজিল্যান্ডে ৪, সেনেগালে ৪ ও হাঙ্গেরিতে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
লুক্সেমবার্গে ৩; উত্তর মেসিডোনিয়ায় ৩; বসনিয়ায় ৩; ডমিনিক প্রজাতন্ত্রে ২; মরক্কোতে ২; আফগানিস্তানে ১; অ্যান্ডোরাতে ১; আর্মেনিয়ায় ১; কম্বোডিয়ায় ১; জর্ডানে ১ এবং অন্যান্য দেশগুলোতে এখনো এক জনের বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।