প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস প্রতিরোধে সৌদি আরব পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনায় ওমরাহ যাত্রী ও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর কাবা শরিফ এবং মদিনা শরিফের দুই পবিত্র মসজিদে জীবাণুনাশক স্প্রে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক জীবাণুনাশক স্প্রের পাশাপাশি ওমরা পালনকারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও বিশেষ হ্যান্ডওয়াশেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গৃহীত পদক্ষেপের আওতায় পুরোনো কার্পেটগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। ওমরা ও জিয়ারত নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই উপস্থিত ওমরাযাত্রী, নামাজি ও মসজিদে হারামের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান ইবনে আবদুল আজিজ আস-সুদাইস করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে মসজিদে হারাম পরিষ্কার করার কাজে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে স্প্রে ব্যবহার উদ্বোধন করেছেন।
মসজিদে হারাম তথা মক্কা ও মসজিদে নববি তথা মদিনার মেঝে, দেয়াল, কার্পেট, প্রবেশপথ ও স্টোররুমে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন বসানো হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মদিনার অজুখানা, বাথরুমে সাধারণ হ্যান্ডওয়াশের পাশাপাশি জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ২৫টি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে কোয়ারেনটাইনের জন্য ২ হাজার ২০০ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, অস্থায়ীভাবে ওমরা যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পর ওমরা পালন করে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার যাত্রী নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় দেশটিতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ওমরাযাত্রী অবস্থান করছিলেন।