Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sabnur-anikভেঙে গেছে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরের ৮ বছরের সংসার। গত ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। শাবনূরের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিককে পাঠিয়েছেন তিনি।

সিনেমা জগতের বাইরের একজনকে বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এক সময়ের রূপালি পর্দা কাঁপানো লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। তাদের ঘর আলো করে এক ছেলেও আসে। তবে কেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন শাবনূর? ভক্তদের মধ্যে এ নিয়ে কৌতূহল জন্মেছে।

chardike-ad

স্বামী অনিককে তালাক দেয়ার কারণ ডিভোর্স নোটিশে শাবনূর নিজেই জানিয়েছেন। সেখানে অনিক মাহমুদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অনেক অভিযোগ এনেছেন তিনি।

জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ।

অনিকের বিরুদ্ধে আনা শাবনূরের অভিযোগগুলো বিষয়ে অ্যাড. কাওসার আহমেদ বলেন, শাবনূরের স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। প্রতিবাদ করলে শাবনূরকে নানারকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন।

নোটিসে শাবনূর আরো জানিয়েছেন, সব সময় মদ্যপ থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একাকি জীবনে ঠিকমতো শাবনূরের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না বলে অভিযোগ শাবনূরের।

অনিকের বিরুদ্ধে শাবনূর আরো অভিযোগ এনেছেন, ছেলের জন্মের পর থেকে অনিক দিন দিন আরো দূরে সরে থাকা শূরু করে। পরে তিনি জানতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন অনিক। এরপরও সব মেনে নিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে উল্টো অমানসিক নির্যাতন সইতে হয়েছে শাবনূরকে। তিনি বলেছেন, এসব কারণে তারা জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। এক সময় বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

সবশেষে তালাকনামায় শাবনূর লিখেছেন, ‘এসব কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

ডিভোর্স নোটিশ বিষয়ে শাবনূরের এসব অভিযোগ বিষয়ে অনিক কিংবা দুজনের পরিবারের কোনো সদস্য থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর।