Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

halimমালয়েশিয়া মানেই যেন সোনার হরিণ, আর এই হরিণ ধরতেই মরিয়া বাংলাদেশিরা। বসতভিটা, গরু-ছাগল বিক্রি করে কেউবা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায়। কপাল ভালো হলে পরবাসেও মেলে ভালো কোম্পানি। কপাল খারাপ হলে প্রবাসীকেই পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। পিছু ছাড়ে না ঋণের চিন্তা ও পারিবারিক দুশ্চিন্তা।

পারিবারিক দুশ্চিন্তা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে পাবনার আটঘরিয়া থানার শিবপুর গ্রামের রাফিউদ্দিনের প্রবাসী ছেলে আব্দুল হালিমের। জানা গেছে, ২০০৭ সালের কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন তিনি। কোম্পানি ভালো না হওয়ায় ঠিকমতো বেতন পেতেন না। তাই সবসময় থাকতেন দুশ্চিন্তায়।

chardike-ad

অন্যদিকে বাড়িতে বেশ কয়েক বছর হলো বাবা-মা বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। যার খরচ বহন করতে হতো কপাল পোড়া আব্দুল হালিমকেই। অন্যদিকে আব্দুল হালিমের তিন বছরের একটি ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। সংসারের খরচ বহন করতে গিয়ে অনেকের কাছ থেকেই ধার-দেনা করেন তিনি।

ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুল হালিম। প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও তার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে উপায়ন্তর না দেখে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে চেরাছের পুসাত পেরুবাতান ইউনিভার্সিটি কেবাংসান হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালটির এক কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, হালিমের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। পরে অপারেশন করানো হয় কিন্তু তাতে কোনো উন্নতি হয়নি। ২য় ধাপে আবারও অপারেশন করানো হয়। তাতেও কিছু হয়নি। অসহায় পরবাসী হালিম এখন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

তার চিকিৎসা বাবদ হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার রিঙ্গিত বিল এসেছে। এরই মধ্যে প্রবাসে থাকা পরিচিত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে আনুমানিক ৪ হাজার রিঙ্গিত সহযোগিতা পাওয়া গেছে। আব্দুল হালিমের পরিচিত একরাম হোসেন ও সাগর মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে, দূতাবাস থেকে আব্দুল হালিমের পক্ষে একটি আবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল হালিমের জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দেশ-বিদেশসহ প্রধানমন্ত্রী ও বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন এই রেমিট্যান্সযোদ্ধা।

বাংলাদেশে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোছা. লিলি খাতুন, সঃ হিঃ নং- ৩৯১৩১০১০০০২৪৪৮; শাখাঃ আতাইকুলা বাজার, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, পাবনা। বিকাশ নং ০১৩১২৮৯০৯১৯ (ব্যক্তিগত)

মালয়েশিয়ায় সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মো. ইকরাম হোসাইন, মোবাইল ১৬৪৪৫৪০৩৩৬৫৪ মে-ব্যাংক।