বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এসব দেশের প্রায় ৮৭ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। চীনে গত সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তবে রোববার হঠাৎ করেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্ত ৫৭৩ জনের মাত্র তিন জন হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বাসিন্দা। এই উহান থেকেই ছড়ানো শুরু হয় নতুন করোনাভাইরাসটি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৫ জন বেড়ে ৯৭৮ এ পৌঁছেছে। আক্রান্ত আরো ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রোববার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের পর নতুন করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। রোববার আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৬ জন বেড়ে তিন হাজার ৭৩৬ এ পৌঁছেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি জাপানে করোনা আক্রান্ত প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ছিলেন।
কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা নেওয়ার পরও রোববার যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তিন জন। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের কেউই বিদেশ সফরে যাননি কিংবা করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে যাননি। এরপরও কী করে এরা আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন চিকিৎসা কর্মকর্তারা।
ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার বলেছেন, ‘আমরা আরো আক্রান্তের ঘটনা দেখতে পাব।’ সম্প্রতি আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের কয়েকটি দেশ, কাতার, ইকুয়েডর, লুক্সেমবার্গ, ও আয়ারল্যান্ডেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।