Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

london-mosjidযুক্তরাজ্যের লন্ডন কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজরত অবস্থায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। হামলাকারী যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছেন অন্য মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের রিজেন্ট পার্কের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আহত ব্যক্তি মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

chardike-ad

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মসজিদের ভেতর লাল জ্যাকেট পরা হামলাকারীকে চেপে ধরে রেখেছেন দুই পুলিশ সদস্য। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলায় ব্যবহৃত ছুরি পড়ে আছে পাশে একটি চেয়ারের নিচে।

লন্ডন ফেইথ ফোরামের পরিচালক মুস্তফা ফিল্ড জানিয়েছেন, মুয়াজ্জিনের ঘাড়ের কাছে একবার ছুরিকাঘাত করে ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি নামাজ ছেড়ে হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। ফলে গুরুতর আহত হওয়া থেকে বেঁচে যান ৭০ বছর বয়সী মুয়াজ্জিন।

আবি ওয়াতিক নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারী তার (মুয়াজ্জিন) পেছনেই ছিল। এরপর হঠাৎ ছুরিকাঘাত করে। মনে হয়, সে নামাজ শুরুর জন্য অপেক্ষা করছিল। পুরোটা সময় সে (হামলাকারী) নীরব ছিল।

লন্ডন কেন্দ্রীয় মসজিদের মহাপরিচালক ড. আহমাদ আল দুবায়ান বলেন, এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত। আশা করি এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র, কোনও ধরনের বিদ্বেষ সম্পর্কিত বা অনুপ্রাণিত নয়।

একই বিশ্বাস পুলিশেরও। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা জোরদারে এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। চিফ সুপারিনটেনডেন্ট হেলেন হার্পার বলেন, ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সে মসজিদের ভেতর নামাজে অংশ নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা দ্রুত কাজ করছি।

এদিকে, মজজিদের ভেতর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভুক্তভোগীদের জন্য সবসময় তার শুভকামনা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জানিয়েছেন, মসজিদে ছুরিহামলার জেরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, প্রত্যেক লন্ডনবাসীরই প্রার্থনাস্থলে নিরাপদবোধ করার অধিকার রয়েছে।