যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই অনলাইন নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন সিইসি। এ সময় যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সিইসি এবং দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এদিকে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন আবেদনের জন্য বিশেষ ধরনের পোর্টাল উদ্বোধন করেন সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, উদ্বোধন কার্যক্রম চলার সময়ই এ অনলাইন পোর্টালে ২৪টি আবেদন পড়েছে। আপনারা অনলাইনে আবেদন করবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলো সম্পন্ন করে আবার আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দেব। ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, বায়োমেট্রিক হবে।
তিনি বলেন, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। ভোটার হিসেবে আপনারা নিবন্ধিত হবেন। পরবর্তীতে এখানে বসে বাংলাদেশে কীভাবে ভোট দিতে পারবেন, সেই ব্যবস্থাও করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে ইসির নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করে আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই বাছাই করে প্রবাসেই বায়োমেট্রিক সংগ্রহসহ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে প্রবাসীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ, ব্যাংক হিসাব খোলা ও মোবাইলের সিম কেনা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের নাগরিক সুবিধা কীভাবে গ্রহণ করতে পারবেন। আগামী মার্চে মধ্যেই ব্রিটেনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
আবেদনের সঙ্গে যেসব দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে: বৈধ পাসপোর্টের কপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম-মোবাইল নম্বর-এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দুবাই প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করে ইসি। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এরই মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের দ্বার উন্মোচিত করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে কার্যক্রমটি শুরু হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তা।