সমস্যায় জর্জরিত এশিয়ার অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশি অভিবাসী আটকে প্রতিদিনই চলছে অভিযান। আর সেই অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা আটকের পর চেয়ে থাকছেন দেশে ফেরার অপেক্ষায়।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নিলাই উতামা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও সেনাংয়ে অভিবাসন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক করা হয় ১১০ জনকে। আটকদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ৬৯ জনকে গেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৮, ইন্দোনেশিয়ার ২৩, পাকিস্তানের ১০, ইন্ডিয়ার ৭ ও একজন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে।
এদিকে, ২০১৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এরপর বাজারটি উন্মুক্ত করতে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পরেও বাজারটি উন্মুক্ত হয়নি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেন, বাংলাদেশ থেকে শূন্য ব্যয়ে কর্মী নিয়োগ করতে শিগগিরই চুক্তি করা হবে। নেপালের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হয়েছে ঠিক একইভাবে চুক্তি বাংলাদেশও চাচ্ছে।
এর আগে, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজায়মি দাউদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা পাওয়া মানেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া নয়। আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায়। গত বছর মোট ৪৪ হাজার ৯৪১ বিদেশিকে এনটিএল বিধানের অধীনে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার ৬৭৬ জন, ভারতের ছয় হাজার ৩৯৮ জন, চীনের চার হাজার ৭৯৩ জন, বাংলাদেশের তিন হাজার ১৫৫ জন, মিয়ানমারের দুই হাজার ৪৪৫ জন। বাকিরা বিভিন্ন দেশের।
মালয়েশিয়ায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন। বিমানবন্দরে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বছরের শুরুর দিন থেকে বিমানবন্দরে নতুন করে আরও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে।