সারা হাবা। তিউনিশিয়ার এক নারী। একাই সাইকেল চালিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে পৌঁছেছেন। তিউনিশিয়া থেকে মক্কায় পৌঁছতে তার সময় লেগেছে ৫৩ দিন। দীর্ঘ এ পথ তিনি একাই পাড়ি দিয়েছেন। যদিও কোনো নারীর জন্য একাকি হজ ও ওমরাহ যাওয়া বৈধ নয়।
দ্য নিউ আরব নিউজ এর বরাতে জানা যায়, সারা হাবা সাইকেল চালিয়ে একা একাই ৫৩ দিনে তিউনিশিয়া থেকে সৌদি আরব পৌঁছেছেন। সারা হাবা নিজ দেশ তিউনিশিয়া থেকে লিবিয়া ও মিসর হয়ে সুদানের মরুভূমি সাইকেল চালিয়েই অতিবাহিত করেছেন। তার দীর্ঘ যাত্রা পথে তিনি সাইক্লিংটোমেকা নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন এবং তা অনলাইনে আপডেট করেছেন। যে সাইকেলে তিনি এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন, তার নাম রেখেছে ‘মেরজুগা’।
ইনস্টাগ্রামে সারা হাবা লিখেছেন, ‘আমি আল্লাহর ঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর পথে কোথাও যাত্রা বিরতি দেইনি। আমার শরীর আমার ইচ্ছা শক্তিই আমাকে টেনে নিচ্ছিল। এত অল্প সময়ে আমি দীর্ঘ এ সফর শেষ করতে পারবো তা ভাবতেও পারিনি।
সৌদি আরবের বর্তমান আইন অনুযায়ী ৪৫ বছরের কম বয়সী কোনো নারী একা একা হজ বা ওমরাহ আদায় করতে পারবে না। সঙ্গে মাহরাম থাকতে হবে। নিজ দেশের ধর্মীয় রক্ষণশীলতার মুখোমুখিও হতে হয়েছে সারা হাবাকে। সারা হাবা, সৌদি আরব প্রবেশ করে সন্দিহান ছিলেন যে, পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন কিনা।
সারা হাবা প্রতিদিন টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়েছেন। যাত্রা পথে তার সাইকেল ‘মেরজুগা’ নষ্ট হয়েগিয়েছিল। সেটি তিনি নিজেই ঠিক করে নিয়েছিলেন বলে জানান সারা।
তার এ সফর অনলাইন দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। মক্কা পৌছার তাকে দেখতে ভিড় করে অনেক মানুষ। তিউনিশিয়া থেকে লাগাতার ১৬ দিন সাইকেল চালানোর পর তিনি সুদানের বন্দরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এক নারীর। সে নারী তার সঙ্গে ২০০ কিলোমিটার পথও ভ্রমণ করেন।
সারা হাবা যাত্রা পথে অনেক মানুষ থেকে খাবার হাদিয়া পেয়েছেন। আল্লাহর ঘরের মেহমান হচ্ছেন জেনে অনেকেই তাকে দোয়া করেছেন বলেও জানান তিনি। সারা হাবার প্রত্যাশা- ‘আল্লাহ তাআলা যেন তার এ কষ্ট কবুল করেন।’