দ্বিতীয়বারেরমত যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে ঘরের মাঠে তুমুল ফেবারিট হওয়ার পরও সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজদের। এবার আকবর আলির নেতৃত্বে আবারও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ।
টাইগার যুবারা কি এবার পারবে প্রথমবারেরমত ফাইনালের টিকিট কেটে নিতে? কিংবা ফাইনালটাও জিতে নিতে? তার আগে যে আকবর আলিদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধার নাম নিউজিল্যান্ড। কিউই যুবাদের বাধা পার হতে পারলেই ফাইনালে দেখা হবে ভারতের। যারা আগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।
টাইগার যুবারা কি পারবে বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পৌঁছাতে? বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় পচেফস্ট্রমে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ওঠার লড়াই। এরপরই জানা যাবে, স্বপ্নটা পূরণ হচ্ছে কি না।
১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম শিরোপা লড়াইয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের জন্য তো ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন প্রথমবার। তবে, যুব বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল, সেখানে ৪ উইকেটে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে টাইগার যুবাদের ১১২ রানে অলআউট করে দিয়েছিল কিউইরা।
কিউইদের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের ফুরফুরে মেজাজে রাখার চেষ্টা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আকবর আলির কথায় সেটাই বোঝা গেলো। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানসিক ও শারীরিক; দুই প্রস্তুতিই আমরা খুব ভালোভাবে নিয়েছি। এখন শুধু মাঠে আমাদের দক্ষতা প্রয়োগ করার পালা। সেটা করতে পারলে মনে হয় যে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে যথেষ্ট মূল্যায়ন করলেন আকবর। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলে এতোদূর এসেছে। তাদেরকে যতোটা সম্ভব কম রানে অলআউট করার চেষ্টা করবো। লোয়ার অর্ডারে তাদের ভালো ব্যাটসম্যান আছে। তাদের ব্যাটিং লাইন অনেকটা লম্বা।’
বৃষ্টির চোখ রাঙানি আছে পচেফস্ট্রমে। তেমনটা হলে কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আকবর আলি বলেন, ‘এটা তো আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই! বৃষ্টি হলে আমাদের যেমন ঝামেলা হবে, ওদেরও তেমন ঝামেলাই হবে।’
সেমিফাইনাল বলে আলাদা কোনো চাপ নেয়ার পক্ষে নন যুবাদের অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দলের সবাই রিল্যাক্সে আছে। এটা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল না ধরে স্বাভাবিক আর দশটা ম্যাচের মতো মনে করলেই মনে হয় ভালো ফলাফল হবে।’
সর্বশেষ দেশবাসীকে তাদের সঙ্গে থাকার এবং সমর্থন দিয়ে যাওয়ার আশা করেন আকবর। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলবো- আপনারা সব সময় যেমন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সমর্থন করেছেন, সেই সমর্থনটাই আশা করবো এবার।’