রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের ওপর ভর করে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। কারণ, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলের যুবাদের। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ৩৫ রানের মধ্যে হারালেও এরপর অনায়াসে ম্যাচ শেষ করে আসে বাংলাদেশ। জয় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সঙ্গে হাতে বল বাকি ছিল ২০০টি। অর্থ্যাৎ, ৩৩.২ ওভার।
৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই উইকেট হারান ওপেনার তানজিদ হাসান। ফিসচার কফের বলে উইকেটের পেছনে ম্যাকিন্টসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ১০ রান করে আউট হয়ে যান ওয়ানডাউনে নামা শামীম হোসেনও।
দলীয় ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ার পর হাল ধরার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু দলীয় ৩৫ রানের মাথায় তিনিও ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৫ রান করে।
এরপর অবশ্য বাকি কাজ সেরে আসতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের। ১৭ রান করে হৃদয় এবং ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল হাসান।
এই জয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ২ ম্যাচ থেকে পূর্ণ চার পয়েন্ট অর্জন হয়ে গেছে টাইগারদের। শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। ওই ম্যাচেই হয়তো নির্ধারণ হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রাকিবুল হাসানের হ্যাটট্রিকের সামনে ৩০.৩ ওভারেই ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড।