ভারতে এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই আইনে। নতুন এ আইনে অন্যান্য ধর্মালম্বী শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও মুসলমানদের স্পষ্টই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত দেখাল ভারতের কেরালা রাজ্যের আলাপুঝার চেরুভাল্লি মুসলিম জামাত মসজিদ। রোববার এ মসজিদ কমিটির আয়োজনে হিন্দু এক জুটির বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। খবর আনন্দবাজারের।
ওই বিয়ে উপলক্ষে সাজানো হয় মসজিদের চারপাশ। মসজিদ চত্বরেই হিন্দু ধর্মানুসারে বর-কনের বিয়ে পড়ান এক পুরোহিত। বিয়েতে স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের জন্য কেরালার ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ ভোজেরও আয়োজন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
বিয়ের কনে অঞ্জুর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। এ কারণে বিয়ের ব্যাপারে এলাকার মসজিদ কমিটির কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন অঞ্জুর মা। অঞ্জুর মায়ের আহবানে সাড়া দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। বিয়ের উপহার হিসেবে অঞ্জুকে তারা ১০টি স্বর্ণমুদ্রা এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেন। সেই সঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের অতিথিদের খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন।
ফেসবুকে শরৎ-অঞ্জুর বিয়ের ছবি শেয়ার করে নবদম্পতি, তাদের পরিবার এবং মসজিদ কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘এ বিয়ে এমন সময় হলো, যখন দেশে ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তিনি আরো লিখেছেন, কেরালা ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং ঐক্যবদ্ধই থাকবে।