ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। অন্ত্যেষ্টির পর বাবকে নিয়ে বলবে কে? সেই গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সদ্য পিতৃহারা ১৩ বছরের রায়ান পুরজাম। বাবাকে (মনসুর পুরজাম) নিয়ে বলতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজেছে চোখের জলে।
তারপরেও বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রায়ান। কানাডার অটোয়ার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছে, তার বাবা সব সময় জীবনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে শিখিয়েছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় মনসুরসহ মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের।
রায়ানের মুখে বাবার কথা শুনতে শুনতে বিষণ্ণ বহু নেটিজেন। টুইটে প্রচারিত হয়েছে বাবাকে নিয়ে তার বলা কথা। রায়ান আরো বলে, ‘আজ যদি বিমান দুর্ঘটনায় অন্য কেউ মারা যেতেন আর বাবা তার স্মৃতিচারণ করতেন তাহলে একটিও খারাপ বা নেতিবাচক কথা তার সম্বন্ধে উচ্চারণ করতেন না। আমিও তাই বাবাকে নিয়ে ইতিবাচক কথাই বলব।’
স্মৃতিচারণের শেষে সবাইকে তার কথা শোনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় রায়ান। তার কথা শুনে টুইটারে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
অটোয়ার নাগরিক ৫৩ বছরের মনসুর কানাডার ডেন্টাল ক্লিনিকে কাজ করতেন। তিনি তেহরানে বড় হয়ে কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে কানাডায় চলে এসেছিলেন। তার স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি