Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bagesবিমানে পরিবহনের সময় ব্যাগেজ বিনষ্ট বা হারানো ক্ষতিপূরণ প্রতি কেজিতে এক হাজার ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে লাখ টাকা হচ্ছে। এছাড়া বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং কার্গো বিমান থেকে পণ্য বিনষ্ট বা হারানো গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

chardike-ad

ওয়ারশ কনভেনশন অনুযায়ী পুরোনো আইনে ব্যাগেজ হারানো বা বিনষ্টের ক্ষতিপূরণ প্রতি কেজিতে ২০ ডলার বা এক হাজার ৭০০ টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। খসড়া আইন অনুমোদিত হলে মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী তা হবে এক হাজার ৩৮১ বা এক লাখ ১৭ হাজার ৩৮৫ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইন অনুযায়ী ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় ২০ ডলারের পরিবর্তে পাঁচ হাজার ৭৩৪ ডলার। ব্যাগেজ বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে এক হাজার ৩৮১ ডলার। আর কার্গো বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ক্ষতিপূরণ ২০ ডলারের পরিবর্তে হবে ২৪ ডলার।’

তিনি বলেন, ‘আগে মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণ ছিল আড়াই লাখ ফ্রাঙ্ক বা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা। নতুন আইনের খসড়া অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ ডলার বা এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ‘ওয়ারশ কনভেনশন-১৯২৯’ এর আলোকে আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচলিত ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার অ্যাক্ট, ১৯৩৪’, ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৬’ এবং ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কনভেনশন) অ্যাক্ট ১৯৬৮’ আইন আছে।

এই তিনটি আইনের আলোকে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ বা কার্গো বা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই নগণ্য ছিল এবং ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সময় সাপেক্ষ ছিল। এ কারণে ২০১৭ সালে নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা নামমাত্র ক্ষতিপূরণ পাবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনে ১৯৯৯ সালেই স্বাক্ষর করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণের পর দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশে তা রেটিফিকশন (অনুসমর্থন) করা হয়নি। মন্ট্রিল কনভেনশনটি রেটিফিকশন করে নতুন আইন প্রণয়ন করলে মুত্যু, আঘাত ও মালামাল হারানো বা নষ্ট হবার ক্ষেত্রে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়া সহজ হবে।

তিনি বলেন, মন্ট্রিল কনভেনশনের রেটিফিকশন এবং যাত্রী মৃত্যু, আঘাত ও মালামাল নষ্ট বা হারানোর ক্ষতিপূরণ প্রদান সহজীকরণের জন্য মন্ট্রিল কনভেনশনের আলোকে ‘আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন, ২০২০’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।’