জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসিরুল কোরআন মাহফিল নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনার মধ্যে সিলেটে মাহফিল বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেটের তিন উপজেলা কানাঘাট, জৈন্তাপুর ও গোইনঘাটের আলেম, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ২০ জানুয়ারি সিলেট কানাইঘাটের মুকিগঞ্জ বাজার জামেয়া মাঠে অনুষ্ঠেয় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল আজহারীর। ওই দিন জৈন্তাপুরের দরবস্ত হাজারি সেনাগ্রাম মাঠে ও ওসমানীনগর উপজেলায় ৩টি মাহফিলে বয়ান রাখার কথা ছিল তার।
আজহারী সিলেটে আসছেন এমন খবরে গত দুদিন থেকে কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার মানুষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তাকে প্রতিহতের ডাক দিয়েছিলেন কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের কওমিপন্থী আলেমরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটের আলেম সমাজ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে মাহফিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু তার বয়ান বিতর্ক তৈরি করছে। তাই আপাতত তিনি কোনো ওয়াজ মাহফিলে যোগ দিতে পারবেন না। পরিস্থিতি শান্ত হলে ভবিষ্যতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি দিলে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান পেশ করতে পারবেন তিনি।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, দারুল উলুম কানাইঘাট মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আলীম উদ্দিন দৌলতপুরি, হরিপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হিলাল আহমদ, হেম দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জিল্লুর রহমান, দরবস্ত মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু হানিফ প্রমুখ। এছাড়া জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার আজহারীকে কানাইঘাটে আসতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন কানাইঘাট দারুল উলুম কওমি মাদরাসার অনুসারী আলেমরা। তারা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে ইসলামবিরোধী বক্তব্য প্রদানকারী আখ্যা দিয়ে কানাইঘাটে প্রতিরোধ করতে দুপুরে কানাইঘাট দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় সভা করেন।