শ্রমব্যবস্থায় সংস্কারের অংশ হিসেবে দেশি ও বিদেশি শ্রমিকদের কর্মস্থল বা চাকরি পরিবর্তনের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে কাতার। বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয় ‘কাফালা’ বা স্পন্সর ব্যবস্থার মাধ্যমে। এই ব্যবস্থায় বেতন ভাতা ঠিকমতো না পেলে, কিংবা শোষণের শিকার হলে কাফিল বা স্পন্সরের অনুমতি ছাড়া চাকরি বদলানোর উপায় ছিল না শ্রমিকদের। এমনকি অন্য কোথাও ভাল চাকরির সুযোগ পেলেও কাফিল বদলানোর সুযোগ ছিল না শ্রমিকদের। চাকরি ছাড়লে কিংবা প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসলে শ্রমিকদের ওপর আরোপ হতো দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামসহ অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল সংখক বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় কাতার। এদের অধিকাংশই ভারত,নেপাল ও ফিলিপাইনের। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির তদন্তে অভিযোগ করা হয়, এই কাফালা পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে কাতারে ব্যাপক হারে শ্রমিক নির্যাতন হচ্ছে। প্রচণ্ড তাপে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করায় অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর শ্রমব্যবস্থায় সংস্কারের ঘোষণা দেয় কাতার।
দোহায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান হৌতান হোমাউনপোর বলেন, ‘ছেড়ে যাওয়ার অনুমতিপত্র ব্যবস্থা বাতিল সরকারের শ্রম সংস্কার এজেন্ডায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। নতুন ব্যবস্থায় কেবল সামরিক বাহিনী ও কোনো কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিদের বেলায় চাকরি ছাড়া বা পরিবর্তনের জন্য অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা বহাল থাকবে।