সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশি গৃহকর্মীা। ওই তরুণী বর্তমানে দেশটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবারের সুখের আশায় গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরবে পাড়ি জমান ওই তরুণী।
দেশটিতে যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় তার ওপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়।পরে ওই কক্ষে তিনদিন ধর কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রিয়াদের ছিমুছি হাসপাতালে রেখে যায় ধর্ষকরা।
সেখানে তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মাঝে রোববার তাকে ছিমুছি হাসপাতাল থেকে ১৫০ মাইল দূরে তৌমির হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ভাঙা গলায় একটু একটু কথা বলতে পারলেও বিছানা থেকে উঠে বসতে পারছেন না তিনি।
তৌমির হাসপাতালে কর্মরত এক বাংলাদেশি বলেন, ‘কীভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ধর্ষণের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তরুণীর’।
তিনি বলেন, ‘তরুণী গৃহকর্মী জানায়, সে যে অফিসের মাধ্যমে সৌদিতে এসেছিল সেখানকার বাংলাদেশিরাও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সে এতটুকু বলতে পারে তার ওপর কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অজ্ঞান হয়ে গেলে আর কিছুই মনে নেই তার।’
এ ঘটনায় সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে অপরাধীদের বিচার সুনিশ্চিত করে তাকে দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।