সিউলের বহুমুখী বিচিত্র খাবারের সম্ভারই হলো বিদেশিদের প্রধান আকর্ষন। অন্যদিকে হান নদীকে প্রধান আকর্ষন বলে মনে করছেন সিউলের স্থানীয়রা। সিউল সিটির এক জরিপে এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। সিউলে অবস্থানরত ৯২০ জন বিদেশি নাগরিক ও ২৯০৭জন সিউলের নাগরিককে মাধ্যমে সিউলের শীর্ষ ৫০টি আকর্ষন নির্বাচন করার মধ্যে দিয়ে এই পরিসংখ্যান করা হয়।
জরিপে দেখা গেছে, সিউলের কোরিয়ান নাগরিকরা হান নদীকে তাদের জীবনের একটি অংশ হিসেবে মনে করেন এবং অবসর সময়গুলো আনন্দে কাটানোর সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেন। পক্ষান্তরে, সিউলে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা মুখে জল আনা সিউলের বিভিন্ন ধরনের খাবারের ডিশ যথা, বারবিকিউ, গালবি, গ্রিল এবং নানা সাইড ডিশ সরাসরি টেবিলে পরিবেশনকেই পছন্দ করেন।
জরিপ বিশ্লেষনে দেখা যায়, কোরিয়ান নাগরিকরা তাদের চিত্তবিনোদনের জন্য হান নদী, প্যালেস, এবং গোয়াংহোয়ামুন নামক দর্শনীয় স্থান তথা অবকাঠামোগত সৌন্দর্য্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন ও বিদেশী নাগরিকগণ তাদের চিত্তবিনোদনের জন্য ডিলিসিয়াস ফুড এবং কোরিয়ানদের একান্ত আন্তরিকতা তথা কোরিয়ানদের এটিকেট বা নম্র আচরণকে প্রাধান্য দিয়েছেন
বিভিন্ন ধরনের এই ডেলিসিয়াস কুইজিনগুলোকে জরিপে প্রথম স্থানে রাখা বিদেশী নাগরিকরা অন্যান্য খাবারগুলোর মধ্যে যথাক্রমে ষ্ট্রিটফুড ১২তম, ট্রেডিশনাল কোরিয়ান ফুড ১৩তম, কিমছি ২৪তম, এবং বুলগোগিকে ৪৩তম স্থানে রেখেছেন।বিদেশী নাগরিকগণ পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশনকেও তাদের আনন্দের অংশীদার মনে করছে। যার মধ্যে পুরো সিউলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাবওয়ে, সাবওয়ের ট্রান্সফার সিস্টেম, স্টাফদের আন্তরিকতা অন্যতম।তাছাড়া বিদেশী নাগরিকগণের মতামতে অষ্টমতম হিসেবে স্থান পায় “চিমজিলবাং” বা কোরিয়ান ষ্টাইলে পাবলিক বাথ সিস্টেম, কোরিয়ান পপ সং ছিলো ২২নম্বরে এবং রাতে অবিরাম ঘুরাসহ ২৪ঘন্টার নিশাচর সিউল ছিলো ২৫নম্বরে।