কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশি ভিসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এমন অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের কাছ থেকে হালনাগাদ কোনো তথ্যই তারা পাচ্ছেন না।
কাশ্মীরি শিক্ষার্থী জিনাত শাকিল। তিনি বলছেন, জীবনের পুরোটা সময় ধরেই তিনি ভারতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এখন তিনি কলকাতার একটি হোটেলে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছেন। মেডিকেলের এই শিক্ষার্থীর আশঙ্কা তিনি হয়তো বাংলাদেশের কাছেও বৈষম্যের শিকার হবেন এবং তাকে ভিসা দেওয়া হবে না।
রুবেনা আসাদুল্লাহ, বিরজেস হাবিব এবং রুমানা এই তিনজনের বয়সই ২০য়ের কোঠায়। তারা গত ২০ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় অবস্থান করছেন। তাদের মতো এমন অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে কলকাতায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
এই তিন শিক্ষার্থী ভিসা পেলেই সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ক্লাস শুরু করতে পারবেন। অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও এ বিষয়ে তারা কোনো তথ্যই পাচ্ছেন না। ফলে তাদের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়।
শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশি হাই কমিশন উপত্যকা থেকে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ভিসার অনুমোদন দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকেই উপত্যকার কোনো আবেদনকারীকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেনি। এদিকে এ বিষয়ের সমাধান চেয়ে গুয়াহাটি, আগরতলা এবং কলকাতায় ডেপুটি হাই কমিশনে ছুটছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলছেন যে, ভারতের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীই গুয়াহাটি বা আগরতলা থেকে ভিসা পাচ্ছেন। কিন্তু যারা কাশ্মীরি শিক্ষার্থী তারা ভিসা পাচ্ছেন না। এটাকে বৈষম্য হিসেবেই দেখছেন তারা।
শ্রীনগরের শিক্ষার্থী রুবেনা বলেন, আমরা গত ২০ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় অপেক্ষা করছি। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশি ভিসা পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা জানি না যে আমরা কবে সবুজ সংকেত পাব এবং বাংলাদেশে যেতে পারব।