টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন তিন বছর হতে চলল। টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসরে না গেলেও সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন না দশ বছর। এখন শুধু ওয়ানডেটাই বাকি মাশরাফি বিন মর্তুজার। এই ওয়ানডেতেও গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল মাশরাফিকে। এরপর আর মাঠে নামতে পারেননি। মাশরাফি কি তবে মাঠের বাইরে থেকেই বিদায় নেবেন?
বিদায় নিয়ে এখনও পরিষ্কার কিছু বলেননি মাশরাফি। তবে বিপিএলে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে যেমন কথা বললেন, তাতে চিন্তিতই হতে পারেন মাশরাফি-ভক্তরা।
বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক যে দলে তার জায়গা নিয়েই সন্দিহান। বললেন, ‘বিশ্বকাপে আট খেলায় এক উইকেট পেয়েছি। এটা যে কোনো মানের একজন বোলারের জন্য মোটেই ভালো পারফরম্যান্স নয়, রীতিমত অনুজ্জ্বল। এমন পারফরম্যান্সের পরও নির্বাচকরা আবার আমাকে ডাকবেন কি না, বিবেচনায় আনবেন কি না, সেটা তাদের ব্যাপার।’
তবে মাঝখানে তো আপনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলে ছিলেন এবং অধিনায়কও হয়েছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তাহলে দলে জায়গা পাবেন কিনা-এ প্রশ্ন আসছে কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি যা বলেছেন, তার সারমর্ম হলো-ওই সিরিজের পর তার সঙ্গে টিম ম্যানেজম্যান্ট এবং নির্বাচকদের কথাই হয়নি। তাই নিজের অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত নন টাইগার দলপতি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারি-মার্চে ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। অনেকেরই ধারণা, এই সিরিজ খেলেই বিদায় বলবেন বাংলাদেশ দলের সফলতম অধিনায়ক। সত্যিই কি এই সিরিজটাই তার বিদায়ী সিরিজ হবে? তিনি কি মাঠ থেকেই বিদায় নেবেন? নাকি খেলা চালিয়ে যাবেন?
এমন সব প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি যা বললেন তার ভাবটা এমন, ‘এটা বোর্ডের ব্যাপার। যদি বোর্ড চায় এবং নির্বাচকরা আমাকে বিবেচনায় আনেন, তাহলে আমি প্রস্তুত। এর বাইরে আমি ক্রিকেট চালিয়ে যাব। কারণ ক্রিকেটই আমার সব। জাতীয় দলে খেলাটাই শেষ কথা নয়। বিপিএল খেলছি, আশা করি প্রিমিয়ার লিগও খেলব।’