Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

rangpurটুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ৯ ম্যাচে মাত্র ১ জয় নিয়ে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলতে নামে সিলেট থান্ডার। ঘরের মাঠে আজও (শুক্রবার) তাদের পিছু ছাড়েনি পরাজয়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলকে ৩৮ রানে হারিয়ে কাগজে কলমে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে শেন ওয়াটসনের রংপুর।

লক্ষ্য ছিল বেশ বড়, ২০০ রানের। তবে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও গতি ঠিক রেখেই খেলছিল সিলেট। আবদুল মজিদ (১১ বলে ৭) শুরুতেই দলকে বিপদে ফেললেও বাকি ব্যাটসম্যানরা রানরেটের দিকে নজর রেখে এগিয়েছেন। ১২ বলে ১৯ রান করে ফেরেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ২২ বলে করেন ৩০।

chardike-ad

তবু ১৫ ওভার পর্যন্ত নয়ের ওপর রানরেট রেখে এগিয়ে যাচ্ছিল সিলেট, জয়ের সম্ভাবনাও ছিল। শেরফান রাদারফোর্ড একাই খেলে যাচ্ছিলেন। সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তিনি।

কিন্তু ১৭তম ওভারে এসে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন রাদারফোর্ড। ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬০ রান করা এই ব্যাটসম্যান ফেরার পরই শেষ আশাটাও শেষ হয়ে যায় সিলেটের। আন্দ্রে ফ্লেচারের দল থামে শেষতক থামে ১৬১ রানে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের ৩৬ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর রেঞ্জার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়াটসন আর মোহাম্মদ নাইম শেখের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় রংপুর। ৫১ বলের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ৭৭ রান। ৩৩ বলে ৪২ রান করে নাইম ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

তবে ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের আরেকটি জুটি গড়েন ওয়াটসন। ১৪ ওভার শেষে রংপুরের রান ছিল ১ উইকেটে ১৩৬। বেশ শক্ত অবস্থানেই দাঁড়িয়ে ছিল দলটি। ১৫তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন এবাদত হোসেন।

১৮ বলে ২৫ রান করা ডেলপোর্টকে ডানহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দেন ওভারের দ্বিতীয় বলে। তৃতীয় বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা ওয়াটসনকে। এর আগেও ঠিক এমনই এক ডেলিভারিতে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের উইকেট ভেঙেছিলেন এবাদত, আজ (শুক্রবার) একইভাবে তাকে বোকা বানানোর পর আঙুল দিয়ে ‘২’ চিহ্ন দেখান তিনি।

৩৬ বলে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ৬৮ রান করে ওয়াটসন ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমে যায় রংপুরের। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ নবীর ১৬ বলে ২৩ আর ফজলে মাহমুদের ৮ বলে ১৬ রানের ছোট্ট দুটি ইনিংসে ভর করে দুইশ ছোঁয়া স্কোর গড়ে দলটি। সিলেটের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন এবাদত হোসেন। ৪ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে তিনি নেন ২টি উইকেট।