সিলেট থান্ডারের ভাগ্য বোধ হয় পরিবর্তন হচ্ছে না সহসাই। হারতে হারতে কোণঠাসা দলটি মাঝে একটি ম্যাচ জিতলেও আবার টানা দুই পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পথে। আজ (শনিবার) তো খুলনা টাইগার্সের সামনে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের ৮৭ রানের হার না মানা এক ঝড়ো ইনিংসে ভর করে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। এই জয়ে শেষ চারের সম্ভাবনা আরও জোরালো করেছে মুশফিকুর রহীমের দল।
টি-টোয়েন্টিতে ১৫৮ রানের লক্ষ্যকে একেবারে মামুলি বলা যাবে না। কিন্তু এমন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যদি ওপেনিং জুটিতেই চলে আসে ১১৫ রান, তবে আর হারের চিন্তা থাকে? রান তাড়ায় আসলে কখনই হারের চিন্তা পেয়ে বসেনি খুলনাকে।
নাজমুল হাসান শান্তর সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে রীতিমত চমক দেখিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৫ রান তোলার পর বরং স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান শান্তই আউট হয়েছেন, ৩১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করে।
মেকশিপ্ট ওপেনার মিরাজ ঠিকই রয়ে গেছেন উইকেটে, প্রতিষ্ঠিত ওপেনারের মতোই খেলেছেন তিনি। দেখার সময় দেখেশুনে, মারের বলে মেরে। দারুণ ব্যাটিংয়ে মিরাজ শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুর্দান্ত এই ইনিংসে ৯ বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
এর আগে খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত লাইন লেহ্নের সামনে হাত খুলে খেলতে পারেননি মোসাদ্দেক-চার্লস-মিঠুনরা। ফলে দারুণ শুরুর পরও ৪ উইকেটে ১৫৭ রানেই থেমেছে সিলেট থান্ডারের ইনিংস।
দুই ওপেনারের মধ্যে আন্দ্রে ফ্লেচার ছিলেন বেশ মারমুখী। ২৪ বলে ৩৭ রান করে রবি ফ্রাইলিংকের শিকার হন তিনি। আরেক ওপেনার রুবেল মিয়া ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন, উইকেট বাঁচিয়ে। একটা সময় ১৩ ওভার শেষে সিলেটের রান ছিল ২ উইকেটে ১০১।
জনসন আউট হন ১২ বলে ১৭ রান করে। তারপর রুবেল মিয়ার ৪৪ বলে ৩৯ রানের ধীরগতির ইনিংসটি থামে শহীদুল ইসলামের বলে। ওই ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
তারপর ৩৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন আর শেরফান রাদারফোর্ড। মোসাদ্দেক ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ আর রাদারফোর্ড ২০ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম আর রবি ফ্রাইলিংক।