ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজধানী দিল্লির জমা মসজিদের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। তারা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে পুলিশ।
রাজধানীর বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পতাকা নিয়ে মিছিল হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে কিছু সংস্থার প্রতিবাদ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেত্রী আলকা লাম্বা ও দিল্লির প্রাক্তন বিধায়ক শোয়েব ইকবালও জমা মসজিদের বাইরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে আলকা লাম্বা বলেন, দেশের প্রধান ইস্যু বেকারত্ব। কিন্তু আপনারা মানুষকে এনআরসির লাইনে দাঁড় করাতে চাইছেন।
দিল্লির উত্তর-পূর্ব দিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন, শীলামপুর ও জাফরাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ভবনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং চারদিক ঘিরে রাখা হয়েছে।
সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের। এর আগে গত শুক্রবার জমা মসজিদের কাছে ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে বিপুল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কিন্তু সেদিন সন্ধ্যার দিকে ওই প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে। এতে আট পুলিশসহ ৩৬ জন আহত হন। চন্দ্রশেখর আজাদ পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেলেও রোববার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-সহিংসতা শুরু হয়েছে। যদিও সরকার বলছে যে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করবে এই আইন। কিন্তু এ নিয়ে সমালোচকরা বলছেন যে, এতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য তৈরি হবে এবং তা সংবিধান লঙ্ঘন করবে।