Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

comillaশেষ দুই ওভারে দরকার ২২ রান। উইকেটে আছেন দুই মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান আর দাসুন শানাকা। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কায় খেয়েও মোস্তাফিজ দিলেন মাত্র ১১ রান। ফলে শেষ ওভারেও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দরকার পড়ে ১১ রান।

মোহাম্মদ নবি বল তুলে দেন ইংলিশ পেসার টম অ্যাবেলের হাতে, যিনি কিনা ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারটায় এসে আর স্নায়ু ধরে রাখতে পারলেন না অ্যাবেল। প্রথম বলেই তাকে ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন মালান।

chardike-ad

পরের বলটা মিস করেন মালান, লেগ বাই থেকে আসে এক রান। তৃতীয় বলে দাসুন শানাকা (৭ বলে ১২) তুলে মারতে গিয়ে মুকিদুল ইসলামের ক্যাচ হন। তবে চতুর্থ বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মালান। ২৪ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।

১৮২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই কক্ষপথে ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ওপেনার মাহিন্দ রাজাপাকসে ১৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ৩২ রান। এরপর দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার আর সাব্বির রহমান। সৌম্য খেলেছেন টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই গতিতেই। ৩৪ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪১ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ধীরে শুরু করলেও পরে হাত চালিয়ে খেলেছেন সাব্বির। ৪০ বলে করেন ৪৯ রান (৩ চার আর ২ ছক্কা)।

এর আগে মোহাম্মদ শাহজাদের ২৭ বলে ৬১ রানে অতিমানবীয় এক ইনিংসে ভর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর রেঞ্জার্স। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় রংপুর। শুরু থেকেই বিধ্বংসী চেহারায় হাজির শাহজাদ। মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে ২৬ বলের ওপেনিং জুটিতেই ৪৯ রান তুলে ফেলেন আফগান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন নাইম।

তারপরও তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন শাহজাদ। নবম ওভারে এসে সানজামুল ইসলামের শিকার হন তিনি। ২৭ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ধরেন সাজঘরের পথ। ওই ওভারেই ১ রান করে রানআউট হন আল আমিন।

টম আবেল বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন, তবে তার ইনিংসটি মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ধুঁকতে ধুঁকতে এগিয়ে যেতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ২৫ বলে ২৫ রান করে সৌম্য সরকারের বলে আল আমিনের হাতে ক্যাচ হন।

এরপর একটু চালিয়ে খেলতে চেয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ২০ বলে ২৬ রান করে স্বদেশি মুজিব উর রহমানের কাছে স্ট্যাম্প হারান আফগান এই অলরাউন্ডার। পরের দিকে লুইস গ্রেগরি (১২ বলে ২১) আর নাদিফ চৌধুরীর (১১ বলে ১৫) ব্যাটিং আর শেষ সময়ে আরাফাত সানীর ১০ বলে ১৫ রানের হার না মানা ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় রংপুর। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুজিব উর রহমান। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় তিনি নেন ২টি উইকেট।