ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। ইতোমধ্যেই ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬০০ আসনের ফলাফল হাতে এসেছে। এর মধ্যে কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৩০টি আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ১৯৬ আসন।
নির্বাচনে জয়ী হতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬ টি আসন। ইতোমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পার করে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
১৯৮৭ সালের পর এটা কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।
তিনি বলেন, লেবার পার্টির জন্য এটি হতাশার রাত। তিনি তার ভোটার, পরিবার এবং বন্ধুদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অপরদিকে কনসারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন তার নিজ আসন অক্সব্রিজে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৫১ ভোট।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ভোট হলো। যুক্তরাজ্যে প্রতি চার বা পাঁচ বছর পর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ জুন এবং ২০১৫ সালে ৭ মে ভোট হয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম শীতকালে এবং ১৯২৩ সালের পর প্রথমবার ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, নির্বাচনে কনসারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রিটেনের মানুষের কাছে একটি পরিষ্কার প্রশ্ন ছিল। সেটি হচ্ছে, তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে কনসারভেটিভ পার্টি জয়লাভ করলে ব্রেক্সিট হবে। তিনি আরও বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। ব্রেক্সিট হবে এবং এগিয়ে যাবে বলেও জোর দিয়েছেন তিনি।