চাকরি আর আকামা না পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেই হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করে ফেলেছে- পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে বাংলাদেশি যুবক রিমন ভূঁইয়া। সম্প্রতি লেবাননের আলাইয়ে আরাইয়া নামক স্থানে রিমনের হাতে খুন হয় মোছা. রহিমা (৪৬) নামে এক নারীকর্মী। রহিমার মাধ্যমেই লেবানন আসেন রিমন ভূঁইয়া।
দু’জনেরই বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় দুলালপুর ইউনিয়নের হরণখোলা গ্রামে। নিহত রহিমা ওই গ্রামের মান্নান মোল্লার মেয়ে এবং গাজিপুর জেলার মো. মান্নানের স্ত্রী। রিমন হলেন একই গ্রামের নুরুর ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারীকর্মী রহিমা ভিসারও কাজ করতেন। ৮ মাস আগে নিজ গ্রামের পূর্বপরিচিত রিমনকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে লেবানন আনেন। লেবাননে আসার পর রিমনকে কোনো ধরনের চাকরি বা আকামা করে দিতে পারেনি রহিমা। আশ্বাস দিয়ে নানা ধরনের টালবাহানা করতে থাকে গত ৮ মাস ধরে। এ নিয়ে প্রায়শ দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হত।
প্রতিবেশি বাংলাদেশিদের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে রিমন রহিমাকে গলা চেপে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ রিমন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে রিমন পুলিশের হেফাজতে আছে। নিহত রহিমার মরদেহ বাবদা সরকারি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে।