পরকীয়ার জেরে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের সদস্য ইয়াকুব আলী। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াকুব আলী সহদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি আকুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, আকুয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর পরকীয়া চলছিল। প্রবাসীর ভাইয়েরা বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াকুব আলী লোহার রড নিয়ে বৈঠকে হামলা চালায়। হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়। পরে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াকুব আলীকে গণধোলাই দেয়। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
ইয়াকুব আলীর প্রতিবেশীরা জানায়, দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী। তাকে ইউপি সদস্যের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান প্রতিবেশীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বালা বলেন, ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর পরকীয়ার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তাকে গণধোলাই না দিয়ে পুলিশে দেয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ইউপি সদস্যকে গণধোলাইয়ের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।