গত ২৯ অক্টোবর আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার দিনই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, লম্বা সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরে সেটি শুধু গুজবেই পরিণত হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও যাননি সাকিব। ছিলেন দেশেই। ক্রিকেট মাঠে নিষিদ্ধ হলেও, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় খেলে বেড়িয়েছেন ফুটবল। এর বাইরে পেয়েছেন দেশের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মানসূচক পুরষ্কারও।
দেশে নিজের সময়টাকে ভালোভাবে উপভোগ করে এবার ঠিকই দেশের বাইরে গেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তবে সেটি লম্বা সময়ের জন্য নয়। বরং পবিত্র ওমরাহ পালনে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ফ্লাইটে সৌদি আরব গিয়েছেন সাকিব।
ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, ক্রিকেটের অতিথিদের স্বাগত জানানো ও বিদায়ী অভ্যর্থনা জানাতে বোর্ডের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকেন যিনি, সেই ওয়াসিম খান রাত সোয়া ১টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সাকিবের সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করেন।
যেখানে তিনি লিখেন, ‘ওমরাহ পালন করতে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে সাকিব আল হাসান। তার জন্য আমার দোয়া রইলো।’
বলা বাহুল্য, সাকিব আল হাসানসহ জাতীয় দলের যেকোনো ক্রিকেটার দেশের বাইরে যাওয়ার সময় তাদের পাশে সবসময় থাকেন ওয়াসিম খান। বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের লজিস্টিক সহায়তার ব্যাপারটি দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেন তিনি।
ওয়াসিম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন সাকিব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওমরাহ পালন করে আগামী ২০ তারিখের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তিনি।