সর্বশেষ কোপা আমেরিকায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না হলেও, ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে নিলো আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক লিওনেল মেসির করা গোলে ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই এক গোলই তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়।
ঘরের মাঠে হওয়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর থেকেই ব্যাকফুটে রয়েছে ব্রাজিল। কোপার ফাইনালের পর থেকে পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয় এটি তাদের। অন্যদিকে ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর টানা ষষ্ঠ ম্যাচে অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা।
অথচ আজকের ম্যাচে প্রথম গোল পেতে পারত ব্রাজিলই। ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু পোস্টের বাইরে শট করে বসেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। যে কারণে পুড়তে হয় সহজ সুযোগ মিসের যন্ত্রণায়।
এর মিনিট তিনেক পরেই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনাও। লিওনেল মেসির নেয়া সেই শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। কিন্তু ফিরতি শটে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুরুতেই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ব্রাজিল। কিন্তু এতে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। উলটো ২২ মিনিটে ক্যাসেমিরো এবং ২৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন দানিলো। কিন্তু তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি তারা।
বিরতির আগে একটি হলুদ কার্ড অবশ্য দেখেছে আর্জেন্টিনাও। ডি পল হলুদ কার্ড পান ৪৩ মিনিটের সময়। এর দুই মিনিট পর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আনদ্রাদা ডি বক্সের বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করতে গেলে ফাঁকায় পেয়ে যান হেসুস। কিন্তু এ সুযোগটিও হাতছাড়া করেন তিনি। ফলে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও কোনো গোল করতে পারেনি দুই দল। উল্টো বেড়েছে হলুদ কার্ডের সংখ্যা। এবার আর্জেন্টিনার পক্ষে হলুদ কার্ড দেখেন নিকলাস তালিয়াফিকো এবং লিওনেল পারেদেস। ব্রাজিলের পক্ষে সতর্কবার্তা স্বরূপ কার্ড দেখেন এডের মিলিটাও।
পুরো ম্যাচজুড়েই বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের প্রায় ৬৬ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রাখে তারা। কিন্তু গোলমুখে শট নিতে পারে মাত্র ১টি। অন্যদিকে ৮ বার লক্ষ্য বরাবর শট নিয়েও একটির বেশি গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তবে মেসির করা সেই এক গোলই জিতিয়ে দেয় ম্যাচ।
ইনজুরির কারণে নিজের পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। ভরসা রেখেছেন তরুণদের ওপর। একই অবস্থা আর্জেন্টিনা দলেও। অভিজ্ঞদের বাইরে রেখে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি।
ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন বেকার, দানিলো, এডের মিলিটাও, থিয়াগো সিলভা, অ্যালেক্স সান্দ্রো, আর্থুর মেলো, ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুইতা, গ্যাব্রিয়েল হেসুস, রবার্তো ফিরমিনো এবং উইলিয়ান।
আর্জেন্টিনা একাদশ: এস্তেবান আনদ্রাদা, হুয়ান ফয়েথ, গ্যাব্রিয়েল পিজেল্লা, নিকলাস ওটামেন্ডি, নিকলাস তালিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, লুকা ওকাম্পোস, লিওনেল পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, লুকা মার্টিনেস ও লিওনেল মেসি।