লেভান্তের কাছে লা লিগায় ১-৩ গোলে, দুর্বল স্লাভিয়া প্রাহার সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলশূন্য ড্র- পরপর দুই ম্যাচে জয়হীন থেকেই ঘরের মাঠে সেল্টা ভিগোর মুখোমুখি হয়েছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। ভয় ছিল আবারও পা হড়কানোর।
তবে স্প্যানিশ জায়ান্ট দলটিতে যে খেলেন একজন লিওনেল মেসি, যিনি প্রতিটি সংকটাপন্ন মুহূর্তে আবির্ভূত হন রক্ষাকর্তা হিসেবে। তিনি আবারও উদ্ধার করেছেন নিজ দলকে। অদম্য মেসির দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকেই সেল্টা ভিগোকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।
ক্যারিয়ারের ৫২তম এবং লা লিগায় ৩৪তম হ্যাটট্রিকটি করার পথে মেসি একটি গোল করেছেন নিখুঁত পেনাল্টি শটে। পরের দুইটি করেছেন দৃষ্টিনন্দন দুই ফ্রি কিকে। এরই মাধ্যমে লা লিগায় সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসি।
ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছিলো বার্সেলোনা। আগের দুই ম্যাচের বাজে প্রদর্শনীর ধারাবাহিকতা যেন বজায় ছিলো এ ম্যাচেও। তবে ভাগ্য সহায় ছিলো এদিন।
তাই তো খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোলটি পেয়ে যায় ব্লাউগ্রানারা। ডি-বক্সের মধ্যে সেল্টার ডিফেন্ডার জোসেফ আইডু হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক মেসি।
তবে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও, সমতা ফেরাতে সময় নেয়নি সেল্টা। বিরতির আগে ৪২ মিনিটের সময় নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করে বসেন মেসি, দেখেন হলুদ কার্ড। ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সেল্টার উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার লুকাস ওলাজা।
এটি আবার মানতে রাজি ছিলেন না মেসি। তাই তো ফ্রি কিকের জবাবটা তিনি দেন ফ্রি কিকেই। প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্তি সময়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে সেট পিস থেকে গোল করেন মেসি। এগিয়ে দেন দলকে।
প্রথমার্ধেই দুই গোল করার পর হ্যাটট্রিক পূরণ করতে অপেক্ষার প্রহর বাড়াননি এ ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৪৮ মিনিটের মাথায় আরেকটি দৃষ্টিনন্দন ফ্রি কিকে ব্যবধান ৩-১ করার পাশাপাশি নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন মেসি। এ নিয়ে চলতি লিগের মেসির গোলসংখ্যা হলো ৮।
ম্যাচ শেষের আগে সেল্টার জালে শেষ গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস। সবমিলিয়ে ৪-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্নেস্ত ভালভার্দের শিষ্যরা।
এ জয়ের ফলে শীর্ষস্থান উদ্ধার করেছে বার্সেলোনা। ১২ ম্যাচে ৮ জয় ও ১ ড্রতে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১ নম্বরে অবস্থান করছে তারা। সমান ২৫ পয়েন্ট রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। তবে গোলগড়ে পিছিয়ে থাকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয়।