ফরমেট যাই হোক, ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা এখন রীতিমত ভয়ংকর। প্রতিপক্ষ বোলারদের কান্নার আরও একটি দিন উপহার দিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। আজ (শুক্রবার) নেপিয়ারে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলাই করেছেন ডেভিড মালান-ইয়ন মরগানরা।
এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। তিন নাম্বারে খেলতে নেমে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটিই কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায় মালান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন দেশের হয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়া ইয়ন মরগানও। ৪১ বলে ৭টি করে চার ছক্কায় ইংলিশ অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ারসেরা ৯১ রানে।
তৃতীয় উইকেটে মালান আর মরগান মিলেই তুলেছেন ১৮২ রান। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যেটি সবচেয়ে বড় জুটি। সেইসঙ্গে চতুর্থ উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি যে কোনো দলের।
ব্যাটসম্যানদের এই তাণ্ডবেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪১ রানের হিমালয়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। এটি আবার তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি। এমন ম্যাচে কি হারলে চলে!
হারেনি মরগানের দল। নিউজিল্যান্ড ১৯ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে ১৬৫ রানে। দুই ওপেনার ছাড়া কিউই ব্যাটসম্যানদের কেউ সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মার্টিন গাপটিল ১৪ বলে ২৭ আর কলিন মুনরো ২১ বলে ৩০ করে আউট হন।
আর শেষদিকে ব্যাটসম্যান বনে গিয়ে চোখ বন্ধ করে চালিয়েছেন টিম সাউদি। ১৫ বলে ২ চার আর ৪টি ছক্কায় তিনি খেলেন ৩৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস। কিন্তু তাতে আর দলের পরাজয় ছোট হয়নি! নিউজিল্যান্ড হেরেছে ৭৬ রানে।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড। রোববার অকল্যান্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি, যেটি এখন পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।