সিলেটের রানা আহমদ তৌরিফ (৪৯)। ওমানপ্রবাসী। ছুটি কাটাতে দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছিলেন। উঠেছিলেন সিলেটের উদ্দেশে বিমানে। কিন্তু সিলেটে তিনি জীবিত অবস্থায় নামতে পারলেন না। নামলেন লাশ হয়ে। শুক্রবার ফেরার পথে বিমানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃতু্ হয়। সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা রানা। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ছিলেন দীর্ঘদিন।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ওমানের রাজধানী মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেয়ার পরপরই উড়োজাহাজের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রানা আহমদ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুরা তাকে সেবা দেন। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি উড়োজাহাজের ভেতরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানার মেয়ে ও ভাতিজাসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
বিমানবন্দরে হতভাগ্য রানার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ জানার পর বিমানবন্দরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশটি গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার বাদ এশা জানাজা শেষে রানাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিমানবন্দর ও সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি-২২২) মাস্কাট-সিলেট-ঢাকা রুটের ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আকাশে উড়ার কিছুক্ষণ পরই ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী রানা আহাম্মদ তার অসুস্থতার কথা ফ্লাইটে দায়িত্বরত কেবিন ক্রুদের জানান। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রানা অচেতন হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানানো হয় ওই ফ্লাইটের পাইলটকে। এ অবস্থায় পাইলট ফ্লাইটটি কোথাও অবতরণ না করে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। এরপর বিমানের ডাক্তার ডেকে আনা হয়। তিনি তার প্রেশার, পালস পরীক্ষার পর জানান যাত্রী উড়োজাহাজের ভেতরেই মারা গেছেন।