Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

manchester-masjidযুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বায়তুল মামুর মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষের হাতে মসজিদের ইমাম লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত ২ সপ্তাহ ধরে ইমাম মসজিদে না আসায় নবগঠিত মাদরাসার আরবি শিক্ষাদানসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বায়তুল মামুর মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের আহমেদ প্রতি সপ্তাহের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার কথা থাকলেও প্রায় আধাঘণ্টা বিলম্বে নিজ সন্তানকে নিয়ে আসেন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়া।

chardike-ad

এরপর তিনি দরজার কড়া নাড়তে থাকেন। ভেতর ক্লাস চলছিল তাই কড়ার শব্দ বুঝতে পারেননি ইমাম জোবায়ের আহমেদ। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় ইমামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারেক আম্বিয়া। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন ইমামকে। ইমাম তাকে ভদ্রভাবে কথার বলার অনুরোধ করলে তিনি আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তারেক ইমামকে পশুর সঙ্গে তুলনা করেন।

এসব কারণে ইমাম জোবায়ের আহমেদ চরম লাঞ্ছিতবোধ করেন। মনকষ্ট নিয়ে তিনি নিজ বাসায় ফিরে যান। ওইদিন থেকে তিনি আর মসজিদে আসেননি। বায়তুল মামুর মসজিদ কমিটির সকলেই এ ঘটনাটি জানলেও তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

অন্যদিকে ইমামের সাথে গোপনে বিষয়টি মিমাংসারও চেষ্টা চলছে। কিন্তু ইমাম জোবায়ের আহমেদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি সরাসরি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় কোনো সুরাহা হবে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে- প্রায় ১২ বছর আগে মসজিদ নির্মাণের প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হারুন আহমেদ ও জাহেদ চৌধুরী লিটন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের এশিয়ান গ্রোসারি দোকানের বেসমেন্টে মুসল্লিদের জন্য নামাজের জায়গা তৈরি করে দিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে মসজিদের ভেতরেই হারুন আহমেদ কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়ার দ্বারা লাঞ্ছিত করে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

তারেক আম্বিয়ার স্ত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বাক-এর সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক ও সংস্কৃতসেবী রওনাক আফরোজ। এসব ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। কয়েক বছর আগে মোহাম্মদ বিল্লাহ নামের জনৈক মুসল্লী তার দেওয়া অনুদান কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়া নিজের ব্যক্তিগত হিসেব নম্বরে জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।

পরে বিষয়টি সুরাহা হলেও সেই থেকে তিনি আর নামাজ পড়তে ওই মসজিদে যান না। পার্শ্ববর্তী ইস্ট হার্টফোর্ড মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। একই সময়ে একটি অডিট কমিটির দ্বারা মসজিদের হিসাব নিকাশের অডিট করা হলে ব্যাপক পরিমাণ অর্থের গড়মিল খুঁজে পান কমিটি।

এ বিষয় নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকেই মসজিদ কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। একক আধিপত্য ও আঞ্চলিকতা পরিহার করে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন মুসল্লিরা।