Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

nuruসরকার বাংলাদেশের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে বরং ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে তুষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। রোববার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাসহ সকল ছাত্রহত্যার দ্রুতবিচার, দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল ও সকল ছাত্রসংসদের নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

chardike-ad

সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, সম্প্রতি সরকার ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তাতে আমরা লজ্জিত। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলেন- ভারতকে যা দিয়েছি ভারত সারাজীবন তা মনে রাখবে। আপনার একটি বাক্যে বোঝা যাচ্ছে। আপনি ভারতকে কী পরিমাণ দিয়েছেন। আপনি দেশের মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করেননি। আপনি ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে তুষ্ট করার কথা চিন্তা করেছেন। কিন্তু ভারত আমাদের কী দিয়েছে। আজও একজনকে সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) আজ দুর্বল বলে আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সমস্যা দূর করতে পারছেন না। আপনারা মানবতার পরিচয় দিয়েছেন, অনেক ভালো করেছেন। কিন্তু আপনারা এই সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে পারেননি। কারণ আপনাদের শক্ত ভিত্তি নেই।

ছাত্রলীগের সমালোচনা করে ডাকসু ভিপি বলেন, আপনারা দেখেছেন বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। কত নির্মমভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবরারকে হত্যা করেছে। আজকের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসীবাহিনী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ভিন্নমতের শিক্ষার্থীরা কথা বলতে ভয় পায়। ভিন্নমতের শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকতে হলে ছাত্রলীগের গোলামি করে থাকতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রয়েছে, হল প্রশাসন রয়েছে তারা ছাত্রলীগের অপকর্মের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে না। আপনারা বুয়েটে দেখেছেন একটা ছাত্রকে ছয় ঘণ্টা পিটিয়ে মেরেছে তারপরও ভিসি একটি বিবৃতি দেননি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে হয়তো তার কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গেলে সরকারের কথা তাদের শুনতে হয়। অথচ বুয়েট পরিচালিত হয় তাদের নিজস্ব অধ্যাদেশ দ্বারা।

পুলিশের সমালোচনা করে নুর বলেন, এখন পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারকে রক্ষা করা। তাদেরকে আমরা খুব বেশি ভালো কাজ করতে দেখি না। তারা সরকারের পেটুয়াবাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যেখানে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ হয়, সেখানে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। বিএনপি নেতাকর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক যেই হোক কাউকে রেহাই দিচ্ছে না পুলিশ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মশিউর রহমান প্রমুখ।