দেশের মাটিতে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। দুই দলের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দানুস্কা গুনাথিলাকার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৯৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান, আবিদ আলী ও হারিস সোহাইলের অর্ধশতকে সহজেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
২৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফখর জামান ও আবিদ আলী। ১২৩ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। অর্ধশতক তুলে ৬৭ বলে ৭৪ রান করেন আউট হন আবিদ।
এরপর অর্ধশতক তুলে নেন ফখর। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ১৮১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ফখর। এরপর ৩১ রান করা বাবরও দ্রুত বিদায় নেন। দলের রান তখন ১৮৯।
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও হারিস সোহাইল চতুর্থ উইকেটে আরও ৫৫ রান যোগ করেন। সরফরাজ ২৩ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে হারিস ৫৬ রান করে সেই চাপ দূর করে দেন। ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার নুয়ান প্রদীপ ২টি এবং রাহিরু কুমারা, হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও সিহান জয়সুরিয়া ১টি করে উইকেটে নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর দানুস্কা গুনাথিলাকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহের ভিত্তি পায় সফরকারীরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ১৩৩ রান করে আউট হন গুনাথিলাকা।
এছাড়া দুসান সানাকা ৪৩, মিনোদ ভানুকা ও অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে ৩৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৭ রান করে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ৩টি এবং উসমান শিনওয়ারি, ওয়াহাব রিয়াজ, সাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ১টি করে উইকেট নেন। পাকিস্তানের আবিদ আলী ম্যাচ সেরা ও বাবর আজম সিরিজ সেরা হয়েছেন।