জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। গতকাল শনিবার থেকে তার ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে। কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাকে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এন্ড্রু কিশোর। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী এবং সংগীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ। এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন জাহাঙ্গীর সাঈদ। ফিরেই খবরটি জানান তিনি।
এদিকে চিত্রনায়ক ওমর সানিও এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। আজ রোববার সকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। কেমো শুরু হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর সাঈদ জানান, এন্ড্রু কিশোরের কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা ছিল। এ কারণে তার ওজন কমে যাচ্ছিল। এড্রেনাল গ্লান্ড বড় হয়ে যাচ্ছিল। এখন প্রতিদিন তার জ্বর আসছে। এসব নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। কেন এভাবে জ্বর আসছে, তার সমাধান খুঁজছেন তারা।
এ ছাড়া তার শরীরের কিছু নমুনা বায়োপসির জন্য পাঠানো হয় ল্যাবে। সে রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন এন্ড্রু কিশোর ক্যান্সারে ভুগছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ প্রভৃতি।