লিটন দাসের দুর্দান্ত শুরুর পর দুই ভায়রা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীমের দায়িত্বশীল জুটি। একপর্যায়ে ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪২ রান। সেখান থেকে যেকোনো দল ভাববে ১৯০+ রানের সংগ্রহের কথা। কিন্তু ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দল থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে। অর্থাৎ শেষের ৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে আসে মাত্র ৩৩ রান।
অথচ জিম্বাবুয়ের বোলারদের আলগা বোলিংয়ে সুযোগ ছিলো আরও বেশি রান করার। শেষ চার ওভারের ২৪ বলের মধ্যে ৯টি বলই ছিলো ফুলটস। এর মধ্যে মাত্র একটি ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকাতে পেরেছেন ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকি ৮ বলের মধ্যে আর কোনো বাউন্ডারি তো আসেনি।
উল্টো কাইল জার্ভিসের করা শেষ ওভারে পরপর দুইটি ফুলটসে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অন্য যেকোনো দেশের ব্যাটসম্যানরা যেখানে অপেক্ষায় থাকেন ফুলটসের, সেখানে এই ডেলিভারিতেই উইকেট ছুড়ে আসেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
এতেই বোঝা যায় মাসল পাওয়ার তথা গায়ের জোরের পার্থক্য। যা অকপটে স্বীকারও করে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি সাফ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কেউই আন্দ্রে রাসেল বা ক্রিস গেইলদের মতো বলবান নয়। তাই গায়ের জোরের চেয়ে স্কিলের ওপরেই বেশি নির্ভর করতে হয় টাইগার ব্যাটসম্যানদের।
মাহমুদউল্লাহর ভাষ্যে, ‘আমার মনে হয়, আমরা পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে স্কিল হিটিংয়ে অনেক বেশি পারদর্শী। যখন আমরা সেট থাকি, তখন আমরা আমাদের পাওয়ারটা কাজে লাগাতে পারি। তবে আমরা ক্রিস গেইল কিংবা আন্দ্রে রাসেল নই। আমাদের স্কিল হিটিংয়ের উপরই বেশি ফোকাস থাকে।’
তবে ফুলটসে মারতে পারার উপায় নিয়ে যে কাজ করা উচিৎ সেটিও বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকটা ফুলটস বল মিস করেছি। একটাতে আউট হলাম, আরেকটা মিস করেছি। আরও ২-১ জন এমন মিস করেছে। আমার মনে হয় ফুলটস বল মুশফিকই সবচেয়ে বেশি ভালো খেলে। এই জিনিসগুলো হয়তোবা ওয়ার্কআউট করতে হবে, স্কিল হিটিংয়ের চেয়ে পাওয়ার হিটিং কিভাবে আরও বাড়ানো যায়। ব্যাটিং কোচের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলাটা ভালো।’