Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

china-football১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীন ‘বিদেশিদের’ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। এমন ঘটনা ২০০২ এর পর এই প্রথম। জাতীয় দলে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর এই চিন্তাটি অনেক বছর ধরেই আলোচনায় থাকলেও ২০১৯-এর আগ পর্যন্ত ‌এর বাস্তবায়ন হয়নি।

চীনের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করার পেছনে মার্সেলো লিপ্পির অন্যতম প্রধান শর্তই ছিল এটি। বেশ কয়েকজন ফুটবলার আছেন যারা গত আট মাসে চীনের নাগরিক হয়েছেন বা নিকট ভবিষ্যতে নাগরিক হতে যাচ্ছেন। ফিফা’র নির্ধারিত কয়েকটি নিয়ম ছাড়াও চীনের হয়ে খেলার জন্য আলাদা বেশ কয়েকটি নিয়ম মানতে হচ্ছে এই খেলায়াড়দের।

chardike-ad

১) পরিবারের অন্তত একজনকে চীনা বংশোদ্ভূত হতে হবে: চীন তাদের ফুটবলের পারফরমেন্সে উন্নতি করতে চাইলেও তাদের চীনা জাতীয়তাবাদী মনোভাব বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নয়। তাই বিদেশি খেলোয়াড় দলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এমন খেলোয়াড়দের খোঁজ করা শুরু করে তারা, যাদের পূর্বপুরুষদের কেউ একজন চীনা বংশোদ্ভূত ছিল।

২) কোনো একটি ইউরোপিয়ান ক্লাবে বা অ্যাকাডেমিতে খেলার অভিজ্ঞতা: বিদেশি খেলোয়াড়দের নাগরিকত্ব দেয়া এখন চীনের ফুটবলে আইনগতভাবে অনুমোদিত হলেও চীনের ক্লাব এবং ফুটবল কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট দক্ষ খেলোয়াড় বাদে কাউকে সেই সুযোগ দিতে নারাজ। দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের দ্রুত উন্নতির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশাল পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যার একটি অংশ হলো বিদেশ থেকে আনা খেলোয়াড়দের দিয়ে দ্রুত সাফল্য অর্জনের চেষ্টা।

৩) কোনো চীনা ক্লাবে ব্যতিক্রমী পারফরমেন্স: অগাস্টে ব্রাজিলে জন্ম নেয়া এলেকসনকে নাগরিকত্ব দেয় চীন, যদিও এলেকসনের পরিবারের সাথে চীনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এলকেসন টানা ছয় বছর চীনের লিগে খেলেছেন। কারণ ১০৩ গোল করে এখনই চাইনিজ সুপার লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।অর্থাৎ, জন্মসূত্রে চীনা না হলেও চীনের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার সুযোগ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাচ্ছে না।

৪) মূল নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হবে: লিওনেল মেসি স্প্যানিশ পাসপোর্ট থাকা স্বত্ত্বেও আর্জেন্টিনা দলে খেলতে পারেন, কিন্তু চীনের জাতীয় দলের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। চীনের নাগরিকত্ব আইন দ্বৈত নাগরিকত্বকে বৈধতা দেয় না, অর্থাৎ চীনা নাগরিকত্ব পেতে হলে অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট রাখা যাবে না।

৫) একটি চীনা নাম থাকা: একজন চীনা খেলোয়াড় চাইনিজ ভাষায় কথা বলতে না পারলেও তার একটি চীনা নাম থাকতেই হবে যেন সমর্থকরা সেই নাম ধরে তাকে উৎসাহ দিতে পারেন। ৯০’এর দশকের শেষদিকে জাপানের জাতীয় দলে খেলা বিদেশি খেলোয়াড়দের আলাদা নাম দেয়া হয়েছিল।

৬) বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শিখতে হবে: চীনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভাষ্য, চীনের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর একজন বিদেশি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এটুকুই তাদের চাওয়া।